বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে শতভাগ কোটা ও শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধা আদায়সহ নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট চারটি বিষয়ে অভিন্ন অবস্থান তুলে ধরবে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) বাণিজ্যমন্ত্রীরা।
Published : 02 Dec 2013, 08:39 PM
মঙ্গলবার থেকে ইন্দোনেশিয়ার পর্যটন শহর বালিতে অনুষ্ঠেয় সম্মেলনের আগের দিন বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন এলডিসি প্রতিনিধিরা।
অন্য ইস্যুগুলো হলো- রুলস অব অরিজিন, তুলায় ভর্তুকি এবং সেবা খাতে ছাড়।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের প্রধান বাণিজ্য সচিব মাহবুব আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “সম্মেলন শুরুর আগে এলডিসিগুলোর অভিন্ন অবস্থান নিশ্চিত করা গেছে। এখন সম্মেলনে এই অভিন্ন অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করা হবে।”
তিনি বলেন, “সুখবর হলো, এলডিসি দেশগুলোর জন্য উন্নয়ন প্যাকেজে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে চারটি ইস্যুকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সে ব্যাপারে প্রতিনিধিরা সবাই একমত হয়েছেন। এটি ৪৯টি এলডিসি দেশের জন্যও একটি ভাল খবর।”
মাহবুব আহমেদের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে রয়েছেন বেসরকারি খাত, এনজিও এবং গণমাধ্যমের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি।
বুধবার ও বৃহস্পতিবার মূল অধিবেশন চলাকালে বাংলাদেশের অবস্থান তুলে ধরবেন বাণিজ্য সচিব।
সম্মেলন শুরুর আগে সোমবার সম্মেলনের চেয়ারম্যান ইন্দোনেশিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী গীতা ওয়ারজাওয়ান এবং তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান এক যৌথ বিবৃতিতে ডব্লিউটিওর সব সদস্যদের সম্মেলন চলাকালে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য সহজীকরণে ঐকমত্যে পৌঁছানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “বাণিজ্য সহজীকরণের চুক্তি হলে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যসংক্রান্ত বিষয়ে খরচ অনেক কমে আসবে। একইসঙ্গে বাণিজ্য সম্পাদনের সময়ও কমে আসবে। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ডব্লিউটিও সদস্য দেশগুলোকে বাণিজ্য সহজীকরণের ব্যাপারে একমত হয়ে চুক্তি করতে হবে।”
“আশা করছি এই সম্মেলনে সেই বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে।”
ডব্লিউটিওর সম্মেলন উপলক্ষে ১৫৯টি দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ের প্রায় দশ হাজার প্রতিনিধি এখন বালিতে অবস্থান করছেন। এবারের সম্মেলনে ইয়েমেনকে নতুন সদস্যপদ দেয়া হবে।
শুক্রবার বালি ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হবে সম্মেলন।