সার কিনতে ব্যয় হবে ৬৩৭ কোটি টাকা।
Published : 24 Sep 2024, 11:51 PM
মরক্কো, কানাডা, রাশিয়া এবং দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফাটিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টন সার কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এর মধ্যে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া, ৭০ হাজার টন এমওপি এবং ৪০ হাজার টন ডিএপি সার কেনা হবে। সব মিলিয়ে ব্যয় হবে ৬৩৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সার কেনার এই প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
বৈঠক শেষে উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, "বৈঠকে সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে সারের কোনো সংকট হবে না।"
মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, সার কেনার তিনটি প্রস্তাব বৈঠকে তোলে কৃষি মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৩০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের দাম ধরা হয়েছে ২৮৫ ডলার।
রাষ্ট্রীয় পর্যায় কানাডিয়ান কমার্শিয়াল কর্পোরেশন ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)-এর মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার মেট্রিক টন এমওপি সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটি। এই সার আমদানিতে মোট খরচ হবে ১৩৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ২৮৫ টাকা।
বৈঠকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অপর এক প্রস্তাবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি এবং বিএডিসির মধ্যে সই হওয়া চুক্তির আওতায় ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ২৮০ কোটি ৮০ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টনের দাম ধরা হয়েছে ৫৮৫ ডলার।
এছাড়া কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনার প্রস্তাব দেয় শিল্প মন্ত্রণায়। কমিটি এই সার কেনার প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১১৭ কোটি ৯ লাখ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৩২৫ দশমিক ২৫ মার্কিন ডলার।