১৯০৫ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
Published : 19 Feb 2025, 08:43 PM
বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর ১২০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে ঢাকায় আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গ্রুপ চিফ এক্সিকিউটিভ বিল উইন্টার্স।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, “আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্ক ও বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড।”
এসময় বাংলাদেশের আর্থিক খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সফরকালে বিল উইন্টার্স দেশের ব্যবসায়ী, নীতিনির্ধারক, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাত করেন।
“তার এ সফর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের দীর্ঘমেয়াদী প্রতিশ্রুতি এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যাংকের ভূমিকার প্রতিফলন।”
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, “গত ১২০ বছর ধরে বাংলাদেশে উন্নয়নের অংশীদার হতে পেরে আমরা গর্বিত। বিল উইন্টার্সের উপস্থিতি ব্যাংকের বাংলাদেশের প্রতি প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে। ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে আমরা আমাদের বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল সক্ষমতা এবং টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগকে কাজে লাগাতে চাই।”
১৯০৫ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। দেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ঋণপত্র চালু করা থেকে শুরু করে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে বহু নতুন উদ্ভাবন এনেছে ব্যাংকটি।
এছাড়া প্রথম কমোডিটি ডেরিভেটিভ, প্রথম ইন্টারেস্ট রেট ডেরিভেটিভ, প্রথম মেটাল ডেরিভেটিভসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক সেবা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশে চালু করেছে বলে তুলে ধরা হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
সেখানে বলা হয়, গত ১২০ বছরে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের অবকাঠামো ও বাণিজ্য উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি শক্তি, টেলিযোগাযোগ, ওষুধ, বিমান, তৈরি পোশাক খাতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শিল্পে বিনিয়োগ সহায়তা দিয়েছে।
ব্যাংকটি দেশের সবচেয়ে বড় বিদেশি বিনিয়োগ, প্রথম গ্রিনফিল্ড বিদেশি বিনিয়োগ এবং প্রথম আন্তর্জাতিক অধিগ্রহণের পেছনেও ভূমিকা রেখেছে।
টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের পাশাপাশি পরিবেশ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা তৈরির মাধ্যমে তরুণদের ক্ষমতায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড দেশের ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অংশীদার’ হিসেবে কাজ করছে এবং আগামীতেও তা অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।