এবারের মেলায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। গতবার বিক্রি বেচাকেনা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার পণ্য।
Published : 20 Feb 2024, 07:37 PM
গতবারের তুলনায় এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় রপ্তানি আদেশ বেশি পাওয়া গেছে; একইসঙ্গে এবারের মেলায় বেচাকেনাও হয়েছে গতবারের চেয়ে বেশি।
মঙ্গলবার বাণিজ্য মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের মেলায় প্রায় তিন কোটি ৫৬ লাখ ডলারের রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ৩৯২ কোটি টাকা।
এ বছর পাওয়া এই রপ্তানি আদেশ গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৭ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
গত বছর বাণিজ্য মেলায় প্রায় ৩০০ কোটি টাকার রপ্তানি আদেশ মিলেছিল।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এবারের মেলায় প্রায় ১৫০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। গতবার বিক্রি বেচাকেনা হয়েছে ১০০ কোটি টাকার পণ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ জানুয়ারী পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারের মাল্টি পারপাস হলে বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের উদ্বোধন করেন।
মঙ্গলবার মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।
অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, “আমরা একটি বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। একটি গ্রামে একটি পণ্য, এভাবে ৬৮ হাজার গ্রাম থেকে অন্তত ৬৮ হাজার দক্ষ কারিগর ও উদ্যোক্তা তুলে আনতে চাই। তার সাথে আরও দশজন করে হলে ৬ লাখের বেশি নতুন উদ্যোক্তা ও কর্মজীবী তৈরি করতে পারব।”
“এভাবেই আগামী এক বছরে সরকার দেশে পণ্যভিত্তিক দক্ষ কারিগর তুলে আনার লক্ষ্য নিয়েছে।”
এই লক্ষ্যে দ্রুত কাজ শুরু করা হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা নিয়ে এই হস্তশিল্পের উন্নয়নে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।
আগামী বছর থেকে বাণিজ্য মেলায় হস্তশিল্পের জন্য আলাদা প্যাভিলিয়ন করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই প্যাভিলিয়নে সারা বাংলাদেশের হস্তশিল্প থেকে উৎপাদিত পণ্যগুলো এখানে আসবে।”
দেশে উৎপাদিত হস্তশিল্প বিদেশি রপ্তানির উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী টিটু আরও বলেন, “শুধু লোকাল মেলা নয়, আমরা আন্তর্জাতিক মেলাতেও প্রদর্শন করতে চাই।
“দেশের বাইরে যে অ্যাম্বেসিগুলো আছে, সেখানেও আমরা ছোট আকারে, বৈশাখী মেলার আদলে হলেও আমাদের যারা বিদেশ থাকেন তাদের মিলনমেলার ব্যবস্থা করব। এই ব্যবস্থার মাধ্যমেই পণ্যগুলো বিদেশে রপ্তানির ব্যবস্থাও আমরা তৈরি করে নেব।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম।