ইপিবি জানিয়েছে, গত অগাস্ট মাসে ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
Published : 04 Sep 2022, 12:36 PM
চলতি অর্থবছরের অগাস্টে রপ্তানি থেকে বাংলাদেশের আয় আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো-ইপিবি রোববার হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় মাস অগাস্টে ৪৬০ কোটি ৭০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের অগাস্টে ৩৩৮ কোটি ৩০ লাখ ডালারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল; অর্থাৎ সেই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৬ দশমিক ১৮ শতাংশ।
চলতি অর্থবছরের অগাস্টে ৪৩০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানির আশা করেছিল সরকার, সে হিসাবে আয় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।
এবারের অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার পণ্য রপ্তানি হয়েছিল, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৪ দশমিক ৭২ শতাংশ বেশি ছিল।
রপ্তানির এই উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে বরাবরের মতোই বিশেষ ভূমিকা রয়েছে তৈরি পোশাক, হোম টেক্সটাইলসহ অন্যান্য পোশাক পণ্যের। তবে ইউক্রেইন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির অন্যতম বাজার ইউরোপ ও আমেরিকায় মূল্যস্ফীতির কারনে ওই অঞ্চলে পোশাক রপ্তানি স্বাভাবিকের চেয়ে কমে গেছে বলে শিল্প মালিকদের ধারণা।
গত সপ্তাহে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর একাধিক নেতা জানিয়েছিলেন, পশ্চিমা ক্রেতাদের কেউ কেউ পোশাক তৈরির ক্রয়াদেশে কাঁটছাঁট করছেন। অনেকে পোশাক তৈরির পর তা কিছুটা বিলম্বে গ্রহণ করতে চাইছেন।
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, নতুন অর্থবছরের প্রথম দুই মাস শেষে দেশের রপ্তানি আয়ে ২৫ দশমিক ৩১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। দুই মাস মিলিয়ে মোট রপ্তানি হয়েছে ৮৫৯ কোটি ১৮ লাখ ডলার, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেশি।
গেল দুই মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৭১১ কোটি ২৬ ডলারের, এই খাতে প্রবৃদ্ধি এসেছে ২৬ শতাংশ।
দুই মাসে ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের হোম টেক্সটাইল রপ্তানি হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫৩ শতাংশ বেশি। হোম টেক্সটাইল একটি উদীয়মান খাত হিসাবে রূপ নিচ্ছে।
এই সময়ে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে ২২ কোটি ৩২ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৮ শতাংশ। পাটপণ্য রপ্তানি হয়েছে ১৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের; প্রবৃদ্ধি প্রায় ২৩ শতাংশ।
গত দুই মাসে তিন কোটি ৩৩ লাখ ডলারের প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির ফলে ৬০ শতাংশ প্রবৃদ্ধির দেখা মিলেছে।