বাজার পরিস্থিতি এক মাসের মধ্যে স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে ‘কী কী করা যেতে পারে’ সেই পদক্ষেপ চান গবেষক সেলিম রায়হান।
Published : 11 Nov 2022, 09:16 PM
বাজারে গিয়ে কান পাতলেই এখন জিনিসপত্রের দাম নিয়ে নানান মন্তব্য ভেসে আসে; কেউবা উচ্চ কণ্ঠে ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন, কেউবা কেনাকাটার সময় নিজের মত করেই গজগজ করছেন।
একটু বেশি আয় যাদের তাদের বলার ধরনটা অনুযোগের মত শোনালেও নিম্ন আয়ের মানুষদের জোরালো ক্ষোভ আর হতাশার প্রকাশ দেখা যায় প্রায় প্রকাশ্যেই।
নিত্যপণ্যের ‘লাগামহীন’ ঊর্ধ্বগতির এসময়ে সীমিত আয়ের মানুষের সংসার চালানো যেখানে নিত্য টানাপড়েনের মধ্যে পড়েছে, সেখানে দিনমজুর শ্রমিক শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রায় নাভিশ্বাসের কথা শোনা গেল ছুটির দিনে ঢাকার কয়েকটি বাজারে আসা ক্রেতাদের মুখে।
এরমধ্যেই এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রধান খাদ্যপণ্য সব ধরনের চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শুক্রবার কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, চাল ছাড়াও সপ্তাহের ব্যবধানে ফের দাম বেড়েছে আরও কিছু নিত্যপণ্যের। এ তালিকায় রয়েছে ডাল, আটা, ময়দা, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদা।
নিত্যপণ্যের সাম্প্রতিক চড়া বাজার পরিস্থিতিতে একেবারে কম আয়ের মানুষদের অনেকেই প্রতিবেলায় ঠিকঠাক খাবার খেতে পারছে কি না তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এর এই নির্বাহী পরিচালক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বাজারে মূল্য পরিস্থিতির যে অবস্থা তাতে আমার ভয় হচ্ছে যে, অনেক মানুষই তিন বেলা পরিপূর্ণ তাদের খাবার খেয়ে রাতে ঘুমাতে যেতে পারবে কিনা, সেই সন্দেহ হচ্ছে।”
‘শুধু পেট বাঁচাতে’ চলছে জীবন
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে জীবন যে এখন নাভিশ্বাস, সেই কথাই বলছিলেন একটি বাস পরিবহন সংস্থার শ্রমিক আবদুল জলিল।
কখনও কখনও এটা-সেটা খেতে মন চাইলেও উচ্চমূল্যের বাজারে ‘শুধু পেট বাঁচানোর জন্য’ জীবন চলছে বলে ক্ষেদোক্তি সোহাগ পরিবহনের কর্মী পঞ্চাশোর্ধ জলিলের।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মালিবাগ বাজারে সদাই কিনতে এসেছিলেন তিনি। সেখানে এই প্রতিবেদকের উপস্থিতি দেখে নিজে থেকেই ক্ষোভ ও কষ্টের কথা বলতে থাকেন তিনি।
“বাজার খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। ইনকাম তো বাড়ে নাই। বেতন তো কম, এর বাইরে আমার আউট ইনকামও নাই।”
জানতে চাইলে জলিল জানান, তার পরিবারের পাঁচ সদস্যের মধ্যে বড় ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকেন। এক মেয়েরও বিয়ে হয়েছে। এখন পরিবারে স্বামী-স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে ঢাকার মালিবাগ বাগানবাড়ি এলাকায় থাকেন তিনি।
২৫ বছর বয়সী ছোট ছেলে একটি অনলাইন কোম্পানির পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন জানিয়ে জলিল বলেন, “ছেলেটা কাজ করে বিধায় টিইক্কা আছি ভাই, না হয় পারতাম না।”
তবুও কূলাতে না পেরে সাড়ে ১৫ হাজার টাকায় নেওয়া বাসার একটি কক্ষ সাবলেট দিয়েছেন। তাতে খরচ বেঁচেছে সাড়ে চার হাজার টাকা।
ঊর্ধ্বগতির বাজারে সংসার খরচ সামাল দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এই পরিবহন শ্রমিক বলেন, “এখন মনে করেন একটা জিনিস খেতে মন চায়, যেমন এক কেজি দুধ কিনতে চাই বা এটা-সেটা মনে চায়, কিন্তু খেতে পারি না। এখন শুধু পেট বাঁচানোর জন্য চলতেছে।”
মাছ মাংস কিংবা ফল, এগুলো খাওয়া এখন ‘স্বপ্নের মত’ মন্তব্য করে হতাশার সুরে তিনি বলেন, “একটা জিনিসের যেমন ইচ্ছা আছে না? যে এক কেজি আপেল নিলাম, এক কেজি অন্য ফল নিলাম, এগুলো খাইতে পারতেছি না। বছরেও একটা দেশি মুরগি কিনে খাইতে পারি না। এগুলো বলেও লাভ নাই।
“ফার্মের লাল মুরগি খাই, হয়ত ১৫ দিনে একটা কিনি। আর গরুর মাংস তো রিজিকে নাই, এগুলো তো খাই-ই না।”
বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের উদ্যোগ দেখছেন কি না জানতে চাইলে সামনের দিনে কী হবে তা নিয়েও অজানা শঙ্কার কথা জানালেন তিনি।
“আমরা কার কাছে এগুলো বলবো, সরকার যেভাবে পারছে চালাচ্ছে। আল্লাহই জানে সামনে আরও কী হয়,” বলেন তিনি।
৩০ বছর পর ঢাকা ছাড়ছেন রিকশাচালক নাজমুল
ময়মনসিংহের সদরের বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম (৫৬), এরশাদ সরকারের সময় থেকে ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও আয় আরও কমেছে বলে জানান তিনি। এ অবস্থায় ১০ সদস্যের পরিবার নিয়ে ঢাকা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই রিকশাচালক।
ছয় সন্তানের মধ্যে নাজমুলের তিন মেয়ের বিয়ে হয়েছে আগেই। ছেলেদের মধ্যে একজন চায়ের দোকান করেন, আরেকজন অটোরিকশা চালালেও অপর ছেলে বেকার।
উত্তর বাড্ডার থানা রোড এলাকায় একটি আধাপাকা ঘরে থাকছেন তারা।
নাজমুল বলেন, “৬০ টাকা ঘর ভাড়া দিতাম। এখন সাড়ে চার হাজার টাকা ভাড়া, তারপরও আবার ভাড়া বাড়ানোর নোটিস করেছেন মালিক।”
জিনিসপত্রের যে দাম তাতে সংসার সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে আগামী মাস থেকে ভাড়া বাসা ছেড়ে দিয়েছেন, ফিরে যাবেন গ্রামে।
৩০ বছরের বেশি সময় ঢাকায় থাকার পর আয়ের সঙ্গে সংগতি রেখে আর টিকতে পারছেন না বলে জানান তিনি।
“বাসা ছাইড়া দিছি, যামু গা। কারণ এখন যে পরিস্থিতি কোনোভাবেই আর সম্ভব না। বাড়িতে গিয়ে কাম করে খামু। সেখানে তো ঘর ভাড়া লাগত না। এই খরচ, সেই খরচ লাগত না। তরি-তরকারি কইরা খামু। এগুলো তো আর কি না লাগত না।“
নিত্যপণ্যের দর যে প্রতিনিয়ত বাড়ছে সেই কথা বলতে গিয়েই নাজমুল তুলে ধরেন দিনের পর দিন তার অসহায় হয়ে ওঠার অবস্থা।
“ডেইলি দাম বাড়ে, কী খামু রিকশা চালাইয়া। বাজারে ৫০০ টাকা নিয়া গেলে এক কেজি মাছ কি না যায় না। কীভাবে চলমু আমরা। চলার কোনো কায়দা নাই।”
বাজারে গিয়ে চাল-ডাল-আলু কিনেই পকেট ফাঁকা হয়ে যায় বলে জানান তিনি। মাঝে মধ্যে নষ্ট কম দরে কিছু মাছ কিনলেও মাংস কেনার সামর্থ অনেক আগেই হারিয়েছেন বলে জানালেন এই রিকশাচালক।
“মাংস তো মাসেও একদিন কিনার পারি না। ৭০০ টাকা কেজি মাংস, এটা কী সম্ভব আমার মত রিকশাওয়ালার? সারাদিনে কামাই করি ৫০০-৭০০ টাকা। এক কেজি মাংস কিনলে পোলাপাইন থাকবো না খাইয়া। মাংস খাইয়া চলব?”
দৈনিক কেনাকাটার হিসাব তুলে ধরে তিনি বলেন, “দৈনিক চার কেজি চাল কিনতে হয়। একেবারে হস্তা (সস্তা) এইডা কিনি, তারপরও ২০০ টাকা লাগে। মাছ কিনতে গেলে কিনি যেডা মাইনসে না কিনে হেইডা। মানুষ যেডা ৩০০ টাকা দিয়া কিনে, আমরার কিনতে হয় ১০০ টাকা দিয়া। আর না হয় শুটকি কিনা লাগে। ১০০ টাকার শুটকি কিনলেও দুইবেলা হয় না। কী করমু আমরা তো দিশা হারা।”
সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি থাকলেও এর আওতায় তারা আসতে পারেননি বলে জানান পরিবহন শ্রমিক জলিল ও রিকশাচালক নাজমুল।
প্রথম অগ্রাধিকার সরবরাহ বাড়ানো
মূল্যস্ফীতির এমন পরিস্থিতিতে ‘কঠিন সময় আমরা পার করছি’ মন্তব্য করে গবেষক ও অর্থনীতির শিক্ষক সেলিম রায়হান জানান, নিম্ন ও সীমিত আয়ের মানুষের আয়ের পথও সংকুচিত হয়ে গেছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার কারণে আগে ১০০ টাকা দিয়ে যা কিনতে পারতেন, এখন অনেক কম কিনতে হচ্ছে। তাদের প্রকৃত আয়ও কমে গেছে।
তার পরামর্শ সরকারকেই এজন্য চেষ্টা করতে হবে যাতে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে নিয়ে আসা যায়। বাজারে জিনিসপত্রের সরবরাহ বাড়াতে আরও কাজ করতে হবে।
তার মতে, দেশজ উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি আমদানি করে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাই হবে প্রথম অগ্রাধিকার। পাশাপাশি নিম্ন আয়ের ও দরিদ্র মানুষদের সামাজিক কর্মসূচি যেগুলো আছে সেগুলোর ব্যাপ্তি আরও অনেক বাড়ানো উচিত।
তিনি বলেন, এটাও ঠিক যে সামাজিক কর্মসূচি সবার কাছে পোঁছবে না। এর আগেও অতীতে দেখা গেছে, ঠিকমত পৌঁছানো যায় না। সে রকম ডেটাবেইজ বা তথ্য নেই। যারা পাওয়ার যোগ্য না তাদের হাতে চলে যায়। আবার যাদের পাওয়ার দরকার তাদের কাছে পৌঁছে না।
বাজার পরিস্থিতি
শুক্রবার ঢাকার কাঁচাবাজারগুলোতে খোঁজ খবর নিয়ে সুখবর দেওয়ার মত তেমন কিছু মেলনি। বরং মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগরসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে সপ্তাহের ব্যবধানে ফের দাম বেড়েছে চাল, ডাল, আটা, ময়দা, তেল, পেঁয়াজ, রসুন, আদাসহ আরও বেশকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবির দৈনিক বাজারদরের তালিকাতেও সপ্তাহের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য রয়েছে।
এ সপ্তাহে চালের দাম আরও বেড়ে নাজিরশাইল ৭৬ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭২ থেকে ৭৮ টাকা। বিআর-২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মোটা চাল স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫১, পাইজাম ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
মালিবাগ বাজারের টাঙ্গাইল রাইস এজিন্সির মালিক হুমায়ুন কবির বলেন, “গত এক সপ্তাহের মধ্যে সব ধরনের চালেই কেজিতে ২ থেকে ৩ টাকা বেড়েছে। এর আগের সপ্তাহেও কিছুটা বেড়েছে।”
মালিবাগ চৌধুরী পাড়ার পাইকারি চালের দোকান শাওন রাইস এজেন্সির বিক্রেতা নূর মোহাম্মদ রিফাত বলেন, “এ সপ্তাহে প্রতি বস্তাতে চালের দর বেড়েছে ৭০ থেকে ১২০ টাকা। একটু বেশি বেড়ছে মোটা চালের দর। তবে চিকন চালের দাম কমই বেড়েছে।”
মিল পর্যায়ে দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে পাইকারি ও খুচরায় বলে জানান তিনি।
এদিকে মশুর ডালের দাম কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৫ টাকা। বড় দানার মশুর ডাল গত সপ্তাহে ১০০ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১০৫ থেকে ১০৭ টাকায়। ছোট দানার ডাল ১২৫ থেকে ১৩০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা।
এ সপ্তাহের ফের বেড়েছে আটার দর। খোলা আটা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং প্যাকেট আটা ৬৫ থেকে ৬৮ টাকা বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ময়দা গত সপ্তাহে এক দফা বেড়ে ময়দা ৭২ থেকে ৭৫ টাকা হয়েছিল, এ সপ্তাহে আরেক দফা ৫ থেকে ৭ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮২ থেকে ৮৪ টাকা।
এ সপ্তাহে বাড়তে থাকা পেঁয়াজও কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। রসুন ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা বেড়ে দেশি আদা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা ও আমদানি করা চায়না আদা ১৮০ থেকে ১৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কম বলে জানিয়েছেন দোকানিরা। অল্পস্বল্প বোতলজাত সয়াবিন পাওয়া গেলেও খোলা সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছে না, যা লিটারপ্রতি ১৯২ টাকায় বেচাবিক্রি চলছে।
হাজীপাড়ার আদিবা স্টোরের মালিক আব্বাস আলী বলেন, “বোতলজাত সয়াবিন ডিলাররা দিচ্ছেন না। দাম নাকি বাড়ছে। কিন্তু এখন খোলা সয়াবিন তেল পাইকারি আমরা বেশি দরে কিনে আনতে হচ্ছে যে কারণে দামও বেশি।”
মাছ-মাংসের বাজারও আগের মত রয়েছে। বাজার ও দোকান ভেদে গরুর মাংস ৬৮০ থেকে ৭০০ টাকা, খাসি এক হাজার টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১৮৫ থেকে ১৯০ টাকা এবং সোনালী ৩৩০ থেকে ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে ডিমের দর গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ছিল ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা।
মাছের বাজারে কম আয়ের মানুষের প্রধান অবলম্বন তেলাপিয়া ও পাঙ্গাসের দর আগের মতে বেশি থাকায় বিপাকে পড়েছেন তাদের অনেকে। তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৭০ থেকে ২০০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। কয়েক মাস আগেও এই দুই ধরনের মাছের দাম কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কম ছিল বলে মাছ ব্যবসায়ীরা জানান।
এমন প্রেক্ষাপটে ‘ঢিলেঢালা’ বাজার তদারকির বদলে ‘এক মাসের’ মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ চান সানেমের নির্বাহী পরিচালক সেলিম রায়হান।
তার মতে, বাজারে যারা সরবরাহ সংকটের মধ্যে সুযোগ নিচ্ছেন, যারা অতিরিক্ত দাম বাড়াচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কিন্তু এমন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না; মনে হয় যা প্রয়োজন তার তুলনায় কম।
“বাজার পরিস্থিতির দিকে সবচেয়ে অগ্রাধিকার দিতে হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় যে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কমানোর জন্য যা যা করা উচিত সব এখনই করা উচিত। প্রতিনিয়ত বাজার নজরদারি ও তদারকি করা দরকার। আগামী এক মাসের মধ্যে বাজারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসে কী কী করা যেতে পারে সেইসব উদ্যোগ নেওয়া দরকার।“
আরও পড়ুন:
চাল আটা পেঁয়াজে গুনতে হচ্ছে আরও বেশি, কমেছে ডিম মাছের দাম
সিত্রাং বাড়াল সবজির দর; আটা চিনি পেঁয়াজ ফের ঊর্ধ্বমুখী
বাজারের উত্তাপ এবার ব্রয়লার মুরগিতে
ছুটির প্রভাবে ক্রেতা কম মাছের; ঝাঁজ বেড়েছে কাঁচামরিচে
চিনিতে প্রভাব নেই সরকারি দামের