ফেডারেশন কাপ
খেলা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়ে পরোক্ষভাবে হতাশা জানিয়েছেন আবাহনীর টিম ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপু।
Published : 22 Apr 2025, 07:27 PM
অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের খেলা শেষের পর যখন ফেডারেশন কাপের ফাইনাল ‘স্থগিতের’ ঘোষণা এলো, সত্যজিৎ দাস রুপুকে দেখা গেল হতাশা প্রকাশ করতে। পরে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতায় অসন্তোষ পুরোপুরি আড়াল করেননি আবাহনীর টিম ম্যানেজার।
রুপুর হতাশার কারণও আছে। ময়মনসিংহের রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ফাইনালে নির্ধারিত ৯০ মিনিট ও অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধ পর্যন্ত যদিও স্কোরলাইন ১-১ ছিল, কিন্তু ফয়সাল আহমেদ ফাহিম লাল কার্ড পাওয়ায় দ্বিতীয় অর্ধে বসুন্ধরা কিংসকে খেলতে হতো ১০ জনকে নিয়ে। সম্ভাবনার পাল্লা তাই কিছুটা ঝুঁকে ছিল আবাহনীর দিকে।
১১ বনাম ১০-এর লড়াইয়ে আবাহনী ‘সুবিধা’ পেত, মনে করেন রুপুও। তবে রেফারি সাইমুন হাসানের সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাইলেন না তিনি।
“সিদ্ধান্ত দিয়েছেন রেফারি। একটা ম্যাচ যখন পরিচালিত হয়, তখন সেটার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দেওয়ার মালিক রেফারি। তিনিই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। টিম সিদ্ধান্ত দিতে পারে না…আমরা খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। যদি আলো নিয়ে সমস্যা থাকে, সেটা অন্য বিষয়, কিন্তু এখানে কি আলো ছিল না? সেটা আপনাকে বিবেচনায় নিতে হবে।”
“আমি জানি না, আমরা তুলনামূলক ভালো পজিশনে (ছিলাম) নাকি কে বেটার পজিশনে থাকত, কিন্তু পরিস্থিতি যেটা বলছে, ১১ জন বনাম ১০ জন, আমার মনে হয় যে, সেখানে একটু অ্যাডভান্টেজ তো (আমাদের) ছিলই।”
যে আলো ছিল, তার মধ্যে খেলা চালিয়ে যাওয়া যেত বলেও মনে করেন রুপু। এই সাবেক মিডফিল্ডার অবশ্য এটা বলতে গিয়ে টেনে আনলেন বাইলজের প্রসঙ্গ।
“আমাদের এখানে সিদ্ধান্ত দেওয়ার কিছু নেই। সবকিছু বাইলজ অনুসরণ করা হয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নেই। আমরা যখন এখানে খেলতে এসেছি, বাইলজ মেনে নিয়েই এসেছি। এখানে বাইলজ অনুসরণ করতে হবে, এটাই বাস্তবতা। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, যে আলো ছিল, তা নিয়ে হয়তো খেলা চালিয়ে যাওয়া যেত।
পরে কখন, কবে মাঠে গড়াবে ফেডারেশন কাপের ফাইনাল, সে প্রশ্নে রুপু তাকিয়ে বাফুফের লিগ কমিটির দিকে। ম্যাচ কমিশনার তৈয়ব হাসানও বল ঠেলে দিয়েছেন কমিটির টেবিলে।
“এখানে লিগ কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে (কবে ফের ফাইনাল হবে), আলোক স্বল্পতার ব্যাপারে জুরিডিকশন রেফারি, এই ক্ষমতা তার। সে যখন মনে করবে, তার। আমরা রেফারিকে বলিনি, আপনি এখন শুরু করবেন, এখন শেষ করবেন। যেকোনো সময় খেলা বন্ধ করতে পারবেন রেফারি। খেলা তো তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করা যাবে না। রেফারিকে এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তিনি নিয়েছেন।”