মুরগির দাম বাড়লেও ভালো নেই খামারি, বন্ধ ‘হাজারো শেড’

১৫ দিনে বাচ্চার দাম বেড়ে সাড়ে তিন গুণ, ওষুধের দাম দ্বিগুণ, খাবারের দামেও লাফ। বন্ধ হচ্ছে একের পর এক খামার।

শাহরিয়ার নোবেলবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2023, 07:51 PM
Updated : 17 Feb 2023, 07:51 PM

মুরগি আর ডিমের দামে আবার লাফের পর ভোক্তাদের নাভিশ্বাস। কিন্তু খামারিরাও ভালো নেই। কারণ, বাচ্চার পাশাপাশি খাবার আর ওষুধের দামেও ঊর্ধ্বগতির কারণে মুরগির দাম বাড়লেও তাদের ভাষায় ‘পোষাচ্ছে না’। তাই বন্ধ হচ্ছে একের পর এক খামার।

মাস দেড়েক আগে ব্রয়লার মুরগির খামার বন্ধ করে দিয়েছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের এনামুল হক পান্না। কেন এই সিদ্ধান্ত, জানতে চাইলে বলেন, “সরে আসলাম, কারণ লস হচ্ছিল। এখন মুরগির দাম বাড়লেও মাঝে অনেক কম ছিল। আমার পোষাইল না।”

বছর চারেক আগে খামারির খাতায় নাম লিখিয়েছিলেন তিনি। দুই শেডে ১ হাজার ৬০০ ব্রয়লার মুরগি পালনের ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু বাজার ব্যবস্থাপনার সঙ্গে তাল মেলাতে না পেরে এ ব্যবসা গুটিয়েছেন। আর মুনাফার আশা করে কাজে নেমে লোকসান গুনতে হয়েছে লাখ তিনেক টাকা।

কেন পোষাল না? প্রশ্ন শুনেই পান্না বললেন, “মুরগি তোলার পর থেকেই খাবারের দাম বাড়তেই আছে। যখনই যাই, দেখি- বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি।

“ফিডের মানও একেক সময় একেক রকম। কোনোটার মান খারাপ হলে মুরগির ওজন ভালো আসে না।”

একই এলাকায় খামার ব্যবসায় এখনও টিকে আছেন ফরিদুল হক মিন্টু। গত সপ্তাহে শেডে একদিনের বাচ্চা তুলেছেন প্রতিটি ৫৩ টাকা করে। তবে ফিডের দাম বেড়ে যাওয়ায় লাভ হওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “৫৩ টাকা দিয়ে মুরগির বাচ্চা কিনে দেড় কেজি ওজনে নিয়ে আসতে ২৫০ টাকার মত খরচ পড়বে।”

খামারিদের দুর্দশার কথা উঠে আসে গেল ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার এক সংবাদ সম্মেলনে। সেদিন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার জানান, ২০০৯ সালে সারাদেশে ১ লাখ ৬০ হাজার খামার ছিল, এখন টিকে আছে ৬০ হাজার। তার মধ্যে সবগুলোতে এখন মুরগি নেই।

খামার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনে মোটাদাগে মুরগির বাচ্চা আর খাবারের দাম ‘অস্বাভাবিক হারে’ বৃদ্ধিকে দায়ী করেন সুমন। 

বাচ্চার দাম ১৫ দিনে সাড়ে তিন গুণ

ব্রয়লার মুরগির বাচ্চার দাম প্রতিদিনই ওঠানামা করে। উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো নিজেদের মত দাম নির্ধারণ করে তা পরিবেশকদের জানিয়ে দেয় মোবাইলে এসএমএসে।

একটি কোম্পানির একদিনের বাচ্চার দামের তথ্য এসেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের হাতে। সেখানে দেখা যায়, ১৯ জানুয়ারি দাম ছিল ১৫ টাকা। মাসের শেষ দিনে তা ঠেকে ৪০ টাকায়। আর এখন ফেব্রুয়ারি মাসে সেই বাচ্চার দাম ৫৫ থেকে ৬০ টাকা করে।

৬ ফেব্রুয়ারির সেই সংবাদ সম্মেলনে একদিনের বাচ্চার দাম এভাবে হুট করে বেড়ে যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলে খামারিদের নেতা সুমন হাওলাদার বলেছিলেন, “দিন দিন পোল্ট্রি ফিড ও বাচ্চার দাম অযৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে দিয়ে কন্ট্র্যাক্ট খামারে নেওয়ার জন্য বাধ্য করেন প্রান্তিক খামারিদের।”

কন্ট্র্যাক্ট ফার্মিং ব্যবস্থায় বড় কোম্পানি খাবার ও বাচ্চা সরবরাহ করে, ক্ষেত্র বিশেষে ওষুধও দেয়। সেই মুরগি বড় হলে কোম্পানির কাছেই বিক্রি করতে হয় খামারিকে। তাতে লাভের অংশ কোম্পানির পকেটে যায়, খামারি পান ‘গ্রোয়িং চার্জ’, অর্থাৎ বাচ্চা বড় করা বাবদ কিছু ‘মুজরি’।

Also Read: পোল্ট্রি ফিডের দাম: সরকারের হস্তক্ষেপ চান খামারিরা

Also Read: ৪ হাত ঘুরে চলে ডিমের কারবার

Also Read: ‘ডিম-মুরগির হঠাৎ দাম বাড়িয়েছে মধ্যস্বত্ত্বভোগী’

‘হঠাৎ কইরা বাড়াইয়া দেয়, হঠাৎ কইরা কমায়’

ঢাকার সাভারের পল্লীবিদ্যুৎ এলাকার খামারি গোপাল চন্দ্র মণ্ডলকে বাচ্চার দামের ওঠানামা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতেই বললেন, “কিচ্ছু বুঝি না, কিছুই বুঝি না- এইটা কেন যে হয়!

“বাচ্চার রেটের এখন যে অবস্থা, এইটা খামারিদের জন্য অনেক সমস্যা। আমাদের হাতে তো কিছু নাই, যেমন বাজার যায়- তেমনই। কোম্পানিরা রেট দেয়। হঠাৎ কইরা বাড়াইয়া দেয়, হঠাৎ কইরা কমায়। এই ২০ টাকা বেশি, এই ১৫ টাকা কম। সিপি কোম্পানি, কাজী কোম্পানি-এরা মুরগি, বাচ্চা সবকিছুর দাম নিয়ন্ত্রণ করে।”

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের খামারি এনামুল হক পান্না বলেন, “কোম্পানিগুলো তাদের ইচ্ছেমত বাচ্চার দাম নির্ধারণ করে। বাচ্চার রেট বাক্সের গায়ে লেখা থাকে। এরা কীভাবে এটা বসায়- তা আল্লাহ জানে আর তারা জানে। তারা যা সিল দেয় তাই। এই দামেই কেনা লাগে। আমাদের এলাকায় খামারিদের অবস্থা ভালো না। অনেক খামারি বর্তমানে বসে আছে।”

কোম্পানিগুলো সুযোগ পেলে ‘ব্যবসা করে নিতে চায়’ মন্তব্য করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শহিদুর রহমান বলেন, “কোম্পানিগুলোর উৎপাদন খরচ এখন ২৮-৩০ টাকার নিচে না। সেখানে তারা যখন কম দামে বিক্রি করে, তখন তাদের অনেক লস হয়। ব্রিডিংয়ের জন্য যে ডিম আসে- সেটা তো না ফুটিয়ে রাখা যায় না, খাওয়ার ডিম হিসেবে বিক্রি করলেও লস।

“কমলে তাদের পুষিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা নেই, সে কখন কত বাচ্চা তুলবে, রেট কেমন ধরবে- সেটা আগে থেকে ঠিক করার উপায় নেই, ডেটা নেই। যেসব কোম্পানি এই ব্যবসায় আছে, তারা ঝুঁকি মাথায় নিয়ে এই ব্যবসা করে। ঝুঁকি কমাতে তারা যখন পারছে- ব্যবসা করে নিচ্ছে, লস পুষিয়ে নেওয়ার প্রবণতা তাদের মধ্যে আছে।”

বাচ্চার দাম কত হওয়া যৌক্তিক?

প্রশ্নটি রাখা হয়েছিল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পোল্ট্রি সায়েন্স বিভাগের চেয়ারম্যান শহিদুর রহমানের কাছে। তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “একদিন বয়সের বাচ্চার যদি যৌক্তিক লাভ রেখেও বলি, তাহলে ৩৫ টাকার বেশি হওয়া উচিত মনে করি না। এই টাকা হলেও কোম্পানিগুলো ব্যবসা করতে পারে।

“এর আগে আমরা বলেছিলাম ২৮-৩০ টাকা হলেও কিছু ব্যবসা হয়। এখন যেহেতু খাদ্যের দাম, পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে, সেহেতু ৩৫ হলেও লাভ হয়। খুচরায় ডিলাররা ৪০ টাকা নিলেও আমি মনে করি- ঠিক আছে। তবে এর বেশি হলে সেটা ওভারপ্রাইস।”

বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটও মনে করে বাচ্চার দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানটির পোলট্রি উৎপাদন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং বিভাগীয় প্রধান শাকিলা ফারুক বলেন, “আমরা হিসাব করে দেখেছি, একটা বাচ্চার উৎপাদন খরচ ২৯ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত হতে পারে। তবে কখনও ওষুধের দাম বা অন্যান্য খরচ বাড়লে তা ৩৫ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।”

খাবার আর ওষুধের দামের চাপ

বছর দুয়েক আগে কুষ্টিয়ার খামারি পান্নার দিন ভালোই যাচ্ছিল। খাবারের দাম ছিল কম, তাই বেশি দামে বাচ্চা তুলেও লাভের মুখ দেখেছেন।

তিনি বলেন, “তখন বস্তাভেদে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা কম ছিল। কিন্তু এখন খাবার, ওষুধের দাম, লেবার খরচ সবকিছু বেশি। সব কোম্পানির হাতে।”

খামারিদের নেতা সুমন হাওলাদারের বক্তব্যও একই। তিনি বলেন, “বাচ্চা ও ফিড উৎপাদন করে- এমন সব কোম্পানিই আমাদের জিম্মি করে রেখেছে। এর মধ্যে ১০ থেকে ১২টি কোম্পানি লিডিং পর্যায়ে রয়েছে। সেখানে কাজী ফিড, প্যারাগন, নাহার, বিপিআইসি রয়েছে। তবে সুযোগ কিন্তু সব কোম্পানিই নেয়।”

সাভার, রাজশাহীর বাঘা ও রংপুরের কয়েকজন খামারি জানান, ২০২১ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানির ৫০ কেজির এক বস্তা পোলট্রি ফিডের দাম ছিল গড়ে ২৪০০-২৫০০ টাকা। গত বছরের মাঝামাঝিতে সেটি কিছুটা বেড়ে হয় ২৭০০ থেকে ২৮০০ টাকা।

গত ডিসেম্বরে এক বস্তা ফিডের দাম ওঠে ৩৩৮০ থেকে ৩৪২০ টাকা। পরে সেই দাম ১২০ থেকে ১৩০ টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৫৫০ টাকায়, যা গত ১০ ফেব্রুয়ারির পর্যন্ত সেরকম ছিল। এরপর খামারিদের কাছে খবর এসেছে- সেই দাম ১০০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৬৫০ টাকা।

সাভারের এক খামারি জানালেন, প্রতি ১০০ মুরগির বিক্রি উপযোগী হতে ৩০০ কেজি পর্যন্ত খাবার লাগে। ক্যালকুলেটর চেপে দেখা যায়, প্রতি মুরগিতে দেড় মাসের ব্যবধানে শুধু ফিডের দাম বাড়ার কারণে খামারির খরচ বেড়ে যাচ্ছে সাড়ে ৭ টাকা। ১০ ফেব্রুয়ারির পর থেকে আরও ১০০ টাকা বাড়ায় আরও ৬ টাকা খরচ বাড়ছে।

ফিডের সঙ্গে সঙ্গে দাম বেড়েছে ওষুধেরও। রাজশাহীর বাঘা এলাকার খামারি মনোয়ার হোসেন বলেন, “ওষুধের দাম আগে যেটা ৫০ টাকা ছিল, সেটা এখন ১০০ টাকা।”

Also Read: হঠাৎ লাফে ‘ডাবল' সেঞ্চুরির পথে ব্রয়লার মুরগি

Also Read: বাজারে আবার আলোচনায় ডিমের দামবৃদ্ধি

Also Read: দামি ডিম কেন দামি? তদারকিতে নেই কেউ

ফিড ও বাচ্চা ব্যবসায়ী নেতাদের ভাষ্য

খামারিদের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশেন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বলেন, “আমরা বারবার বলছি- ফিডের কাঁচামালের দাম ৬০-৭০ শতাংশ বেড়ে গেছে। ডলারের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ২৭ শতাংশ। আমরা তো আমদানিকারক দেশ। আপনারা দেখছেন আমরা যেসব পণ্য কিনি- আটা, গম, ভুট্টা সবই কৃষিজ উপাদান আর সবকিছুর দাম বেশি। আমদানি খোলা নেই, সংকট তো হবেই।”

এসিআই গোদরেজ এগ্রোভেট প্রাইভেট লিমিটেডের এই অ্যাসোসিয়েট ভাইস-প্রেসিডেন্ট বলেন, “অনেকেই নিজেদের খামারিদের নেতা দাবি করে, কিন্তু তারা কেউ খামারি না। খামারিদের ওপর চাপ না। মানুষ যে ১০ টাকা সাড়ে ১০ টাকায় ডিম খেতে চায়- সেটাই অন্যায়। উৎপাদন খরচের কম দামে চাইলে হবে না। দেশে অন্য সবকিছুর দাম বেশি, তবু শুধু ডিম আর ব্রয়লারের দাম বাড়লেই সবার চুল খাড়া হয়ে যায়।”

নজরুল ইসলাম বলেন, “বাচ্চা যখন ১০ টাকার নিচে ছিল, ফিডের দাম কম ছিল- তখন তারা কথা বলেনি, কেউ বলেনি। লস দিয়েছি আমরা। এখন তেলের দাম, বিদ্যুতের দাম- সব বেড়ে গেছে, দাম না বাড়িয়ে কী করব? বাড়ানোর পরও তো আমরা লসে আছি, কেউ স্বস্তিতে নেই।

“আপনারা খবর নিন, দেশে ২০০টি নিবন্ধিত ফিড মিল আছে, এখন কয়টা ফিড মিল চালু আছে? ব্যবসায় লাভ হলে তো সব কোম্পানি খোলা থাকত। আমরা প্রতিনিয়ত লসের মধ্যে আছি। গ্রামগঞ্জে কত ফিড মিল বন্ধ হয়ে গেছে। মাত্র ৬০-৭০টা ফিড মিল চালু আছে।”

মুরগির দাম কত পাচ্ছেন খামারিরা

ফেব্রুয়ারির শুরুর দিনে রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে। তিন দিনের মাথায় তা হয়ে যায় ১৮০-১৯০ টাকা কেজি। ৬ ফেব্রুয়ারি এটি ২০০ টাকার ঘর ছুঁয়ে ফেলে। ১৬ ফেব্রুয়ারি বিক্রি হয়েছে ২১০-২২০ টাকা দরে।

ঢাকার বাইরের একাধিক খামারি জানিয়েছেন, তারা কেজিপ্রতি ১৯০ টাকা বা এর বেশি দামে বিক্রি করছেন মুরগি। পরিবহন খরচ যোগ হয়ে ওই ব্রয়লার মুরগির দর বৃহস্পতিবার ঢাকার কাপ্তান বাজারে পাইকারিতে ছিল ২০৫ থেকে ২০৭ টাকা কেজি।

আলোচনায় সমাধান খুঁজছে মন্ত্রণালয়

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাহিদ রশীদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমাদের নজরে আছে, প্রতিনিয়ত আমরা এটি দেখছি- ফিড-বাচ্চার দাম বেড়ে গেছে; মুরগি উৎপাদনে যে খরচ- তা উঠে আসছে না। এই সমস্যা একদিনের না, অনেক দিন আগে থেকে চলছে। খাদ্যের দাম বাড়াটাই মূল, এর প্রভাব অন্যান্য জায়গায় পড়ছে। ক্রমাগতভাবে আমরা অংশীজনদের নিয়ে বসছি।”

আলোচনা থেকে কোনো সমাধান খুঁজে পেয়েছেন কি না, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “সমাধান তারাই বলবে। সংশ্লিষ্ট নানা কর্নার থেকে যারা আসছে, তারাই বলছে এটা কীভাবে সমাধান করা যায়। তারা বলছে, এটা নতুন করে দেখা হবে। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। রাতারাতি তো আর সমাধান দেওয়া যাবে না।”

পোলট্রি নীতিমালা ও পোলট্রি ফিড নীতিমালা প্রসঙ্গে সচিব বলেন, “নীতিমালা যেটা আছে, সেটা আপডেট হবে। নতুন করে আমরা সবার মতামত নিয়ে এটি রিভাইজ করেছি, খসড়া অবস্থায় আছে আছে, এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

“আগে অনেক কিছু ছিল না, এখন নতুন অনেক সমস্যা দেখা যাচ্ছে। নীতিমালা যেহেতু সংশোধন করা হচ্ছে সেহেতু আশা করি কিছু সুফল আসবে।”

আরও পড়ুন

Also Read: ব্রয়লার মুরগি এক লাফে ২৩০, ডিমের হালি ৫০ টাকা