“অনেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন বলে তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে,” বলেছেন বিএফআইইউ এর এক কর্মকর্তা।
Published : 08 Aug 2024, 09:44 AM
অর্থ পাচার ঠেকানোর বিষয়ে আলোচনার জন্য দেশের সব রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকের চিফ অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স’ অফিসারদের ডেকেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টা এবং বিকাল ৩টায় দুই দফায় এ বৈঠক হবে বলে বুধবার সব ব্যাংকে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।
অ্যান্টি মানি লন্ডারিং কমপ্লায়েন্স অফিসার'স অব ব্যাংক ইন বাংলাদেশ কনফারেন্সের জেনেরাল সেক্রেটারি ও ব্র্যাক ব্যাংকের ডেপুটি ব্যবস্থাপনা পরিচালক চৌধুরী মইনুল হোসেন এ বৈঠক ডাকার বিষয়টি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। তবে বিস্তারিত কিছু তিনি বলেননি।
এ বিষয়ে একাধিক ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। কেন এখন এ বৈঠক ডাকা হয়েছে, সে বিষয়ে তারাও সুনির্দিষ্ট কিছু জানেন না। তবে তারা বলেছেন, গণ আন্দোলনে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর গত সরকারের সময়ে অর্থ পাচারের বিষয়গুলো এখন নতুন করে আলোচনায় আসছে। হয়ত সেসব বিষয়ে আলোচনা এবং অর্থপাচার ঠেকাতে করণীয় নিয়ে জানাতে বিএফআইইউ এই বৈঠক ডেকেছে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে বিএফআইইউর একজন কর্মকর্তা বলেন, “অনেক দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মকর্তা ও রাজনীতিবিদ তাদের অ্যাকাউন্টে থাকা দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকা সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন বলে তথ্য রয়েছে আমাদের কাছে। আমরা সাধারণত কর্তৃপক্ষ বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করতে পারি না। এটা প্রতিরোধ করেতেই ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হবে।”
তিনি বলেন, অর্থপাচারে কারা জড়িত, সে বিষয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনের পর সবাই জানতে পারবে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরও বলেছিলেন, দেশ থেকে কারা কী পরিমাণ অর্থ পাচার করেছেন, সব তথ্য অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে জানা যাবে।
মঙ্গলবার সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মত বিনিময় সভায় ডেপুটি গভর্নর খুরশীদ আলম বলেছিলেন, “ব্যাংক খাতে কাজ করতে গিয়ে নানা রকমের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। অনেক সময় অনেক গ্রুপের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যায় না কিংবা নিতে দেওয়া হয় না। তাতে নানা রকমের চাপের মুখোমুখি হতে হয়।”
আর ডেপুটি গভর্নর নুরুন নাহার বলেছিলেন, পরিস্থিতি পরিবর্তন ঘটলে আরও অনেক বিষয়ে পরিবর্তন আসে। এখানেও পরিবর্তন আসবে।
“খেলাপি ঋণ নিয়ে নানা রকমের আইন রয়েছে। তবে নানা চাপের কারণে এটা প্রয়োগ করা সম্ভব হয় না। তবে সামনে এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আমি মনে করি।”