এ প্রকল্পের অধীনে বৈদ্যুতিক ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েল্ডিং, সেলাই মেশিন চালানো, পোশাকে স্ক্রিন প্রিন্টিং, দর্জি ও পোশাক তৈরির কাজ ও বিউটি কেয়ার বিষয়ে শ্রেণিকক্ষ-ভিত্তিক ও কর্মস্থলে সরেজমিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
Published : 27 Oct 2024, 08:53 PM
‘গিভিং উইংস টু ড্রিমস ফর ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট প্রোগ্রাম’ এর আওতায় এক হাজারের বেশি যুবকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাইলফলকে পৌঁছানোর কথা জানিয়েছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।
রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বহুজাতিক ব্যাংকটি জানিয়েছে, ইউসেপ বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে তার।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের বৈশ্বিক সামাজিক উদ্যোগ ‘ফিউচারমেকার্স’চালু হয় ২০২৩ সালের জুন মাসে। বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের মাধ্যমে যুব জনশক্তির দক্ষতা উন্নয়ন, মধ্যম পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা ও উদ্যোক্তা হিসেবে বিকাশের সুযোগ দিতে প্রকল্পটি নেয় স্টান্ডার্ড চার্টার্ড।
দুই বছরের মধ্যে দুই হাজার সুবিধাভোগীকে সেবা দেওয়ার উদ্দেশ্য ছিল এ প্রকল্পের। গত সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এক হাজার ১৪৬ জন যুবকের আত্মকর্মসংস্থান বা মজুরিভিত্তিক কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়েছে বলে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড জানিয়েছে।
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের হেড অফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স, ব্র্যান্ড অ্যান্ড মার্কেটিং বিটপী দাশ চৌধুরী বলেন, "এই মাইলফলক বাংলাদেশের যুব সমাজের অসামান্য সম্ভাবনার সাক্ষ্য বহন করে। টেকসই সমৃদ্ধি অর্জনের পথে কাজ চালিয়ে যাওয়ার সময় সমান অর্থনৈতিক সুযোগ নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তা অত্যন্ত জরুরি।
“সরকারি ও বেসরকারি খাতের পরামর্শক্রমে সহ-প্রতিষ্ঠিত এ ধরনের দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম কেবল যুবকদের লাভজনক কর্মসংস্থানের জন্য প্রস্তুত করবে না, বরং গাজীপুরের মত প্রধান শিল্পাঞ্চলের জন্য দক্ষ কর্মশক্তির সরবরাহও বাড়াবে।"
প্রশিক্ষণমূলক প্রকল্পের অধীনে বৈদ্যুতিক ইনস্টলেশন ও রক্ষণাবেক্ষণ, ওয়েল্ডিং, সেলাই মেশিন চালানো, পোশাকে স্ক্রিন প্রিন্টিং, দর্জি ও পোশাক তৈরির কাজ ও বিউটি কেয়ার বিষয়ে শ্রেণিকক্ষ-ভিত্তিক ও কর্মস্থলে সরেজমিনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার বিষয়ে সচেতন করতে এবং প্রজনন স্বাস্থ্যের অধিকার নিশ্চিত করতে ‘ওয়ার্কপ্লেস ওয়েলবিয়িং ম্যানেজমেন্ট’ কোর্সও দেওয়া হচ্ছে।
বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর উচ্চ-সম্ভাবনাময় প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়। অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দিতে প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী ও ২ শতাংশ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে।