জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে জানিয়েছেন আমন্ত্রণ।
Published : 11 Jan 2023, 05:14 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থগিত হওয়া জাপান সফর আগামী এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে।
বুধবার জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসার পর এমন ইঙ্গিত মেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “জাপানি রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আগামী মার্চ-এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী এপ্রিলে যাওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন।”
গত নভেম্বরের মাসের শেষ দিকে জাপান সফরে যাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। তবে শেষ মুহূর্তে তা স্থগিত হয়েছিল।
নতুন তারিখে হবে প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর
জাপানের নতুন রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বাংলাদেশ মিশনে দায়িত্ব নেওয়ার পর বুধবার সৌজন্য সাক্ষাতে গণভবনে যান।
তিনি দুই দেশের বিদ্যমান সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তার নতুন মাত্রায় নিতে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন বলে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার জানান।
ইওয়ামা বলেন, ভবিষ্যত সম্পর্ক হবে কৌশলগত সম্পর্ক। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করতে জাপান সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বিনিয়োগ বাড়াতে কাজ করার প্রতিশ্রুতিও দেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা সংকটের সমাধানে জাপানের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এবং আসিয়ান ফোরামে তোলার প্রতিশ্রুতি ইওয়ামা দিয়েছেন বলে জানান নজরুল।
কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম জোরদার করতে ইউএনএইচসিআরের সঙ্গে জাইকার কাজ করে যাওয়ার কথাও বলেন রাষ্ট্রদূত। তিনি আরও বলেন, জাপানের কিছু এনজিও এসব এলাকায় কাজ করছে।
প্রধানমন্ত্রী ঢাকার মেট্রোরেল নির্মাণে সহায়তার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মেট্রোরেল জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
মেট্রোরেলের অন্য লাইনগুলো নির্মাণেও জাপান সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী সাবরাং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানান। জাপানকে এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেওয়ারও আমন্ত্রণও জানান তিনি।
আগামী বছর উদ্বোধন হতে যাওয়া হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্যও জাপানকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী। ওই টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বও একটি জাপানি কোম্পানিকে দেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।
বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুবিধা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধার কারণে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা দক্ষিণ এশিয়া ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে তাদের পণ্য রপ্তানি করে মুনাফা অর্জন করতে পারে।”
জাপানের সঙ্গে ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের পরম বন্ধু। জাপানের অবস্থান আমার এবং আমার পরিবারের সদস্যদের হৃদয়ে।”
অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।