কদমতলীতে রিকশাচালক ইমনকে হত্যা ‘পরকীয়ার সন্দেহে’: পুলিশ

পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আল আমিনের ধাক্কায় দেয়ালে আঘাত পেয়ে অজ্ঞান হয়ে যান ইমন। পরে ইমনের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন আল আমিন।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 June 2023, 02:11 PM
Updated : 6 June 2023, 02:11 PM

রাজধানীর কদমতলীতে রিকশাচলক ইমন কাজীকে খুনের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার  অভিযোগে আল আমিন শেখ নামের একজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, এই আল আমিনই তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে, এমন ধারণা থেকেই ইমনকে খুন করেন। 

আল আমিন শেখকে বরিশালের হিজলার গোবিন্দপুর থেকে সোমবার গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ওয়ারী বিভাগ।

গত শনিবার কদমতলীর পশ্চিম মোহাম্মদবাগ সোনা মারিয়া জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে একটি ইমনের বস্তাবন্দি হাত পা বাঁধা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে কদমতলী থানা পুলিশ।

পেশায় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক ইমন কাজী গত ৩০ মে রিকশা নিয়ে শ্যামপুরের বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। ইমনের বাবা মো. লিটন প্রথমে নিখোঁজ জিডি করেছিলেন। ছেলের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর হত্যা মামলা করেন। ইমনের রিকশাটি রাজধানীর ফরাসগঞ্জ থেকে উদ্ধার করা হয়।

গোয়েন্দা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার আলআমিন শেখও রিকশাচালক। সেই সুবাদে আল-আমিনের বাড়িতে ইমনের যাতায়াত ছিল।

এতে বলা হয়, বাসায় যাতায়াতের কারণে ইমনের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া রয়েছে বলে সন্দেহ করতেন আল আমিন। আল আমিন মনে মনে প্রতিশোধ নেওয়ার ছক আঁটেন এবং পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ইমনকে পাঁচ হাজার টাকা ধার দেয় আল-আমিন। কয়েকদিন পর ধারের টাকা ফেরতের জন্য ইমনকে চাপ দিতে থাকেন আল আমিন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জিজ্ঞাসাবাদে আল আমিন জানিয়েছেন, ৩০ মে তিনি ইমনকে কৌশলে তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে কৌশলে ইমনকে কোকের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। সেখানে তাদের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।

Also Read: ঢাকায় নিখোঁজ কিশোর রিকশাচালকের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার

আল আমিন এক পর্যায়ে ইমনকে ধাক্কা দিলে দেয়ালে আঘাত পেয়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে ইমনের গলায় গামছা পেঁচিয়ে হত্যা করেন আল আমিন।

পরদিন সন্ধ্যায় ইমনের মৃতদেহ বস্তায় ভরে কদমতলীর হেনোলাক্স গলির একটি ডোবায় ফেলে রেখে বরিশালে শ্বশুর বাড়ি চলে যান আল-আমিন।