এভাবে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি মানবিক বিপর্যয় আনবে: বিবৃতি

“…হঠাৎ করে পেট্রল-ডিজেল-অকটেন-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক ঘোষণা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনবে।”

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 August 2022, 02:59 PM
Updated : 7 August 2022, 02:59 PM

‘দাতা সংস্থার নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে’ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি দেশে ‘মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে’ বলে হুঁশিয়ার করেছেন ২৬ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

রোববার এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, “জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি অশুভ শক্তির হাতকে শক্তিশালী করবে। এই মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত জনজীবনে চরম বিপর্যয় ডেকে আনবে।”

মহামারীর মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধের প্রভাবে মানুষ নানা সংকটের মধ্যে আছে মন্তব্য করে বিবৃতিতে বলা হয়, “এই সংকটাপন্ন অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির ন্যূনতম যৌক্তিকতা থাকলেও হঠাৎ করে পেট্রল-ডিজেল-অকটেন-কেরোসিনের মূল্যবৃদ্ধির অযৌক্তিক ঘোষণা দেশে নৈরাজ্য ডেকে আনবে।

“এর ফলে সকল প্রকার উৎপাদন, বণ্টন, পরিবহন খাতে নৈরাজ্য বৃদ্ধি পাবে। ফলশ্রুতিতে সকল প্রকার নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাবে, মানুষ আরও চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। সমাজে অশুভ শক্তির তৎপরতা বৃদ্ধি পাবে। দেশে অগ্রযাত্রা, স্থিতিশীলতা বিঘ্ন ঘটবে।”

জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে জনজীবনে ‘স্বস্তি’ ফেরানোর দাবি জানিয়ে বিবৃতিদাতারা বলেন, “আমরা মনে করি, দাতা সংস্থার দ্বারস্থ হয়ে সরকার দাতা সংস্থার দেওয়া নির্দেশনাকে প্রাধান্য দিয়ে দেশকে মানবিক বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। অথচ ইতোমধ্যে জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য হ্রাস পেতে শুরু করেছে।”

বিবৃতি দাতারা হলেন- সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঐক্য ন্যাপ সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য রামেন্দু মজুমদার, ইতিহাসবিদ অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী, সাম্প্রদায়িকতা জঙ্গিবাদবিরোধী মঞ্চের সদস্য সচিব ড. নূর মোহাম্মদ তালুকদার, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এম এম আকাশ, মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম, মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির, ঢাবিঅধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, জোবাইদা নাসরীন, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সভাপতি এম এ সবুর, গণতান্ত্রিক আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল বারী, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ, সমাজ গবেষক সেলু বাসিত, উঠান সভাপতি অলক দাশ গুপ্ত, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী পারভেজ হাসেম, আনন্দনের প্রধান সংগঠক এ কে আজাদ, জাতীয় শ্রমিক জোট সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, ইমারত নির্মাণ শ্রমিক ইউনিয়ন বাংলাদেশের (ইনসাব) সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের তথ্য ও প্রচার সম্পাদক দীপায়ন খীসা, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক জীবনানন্দ জয়ন্ত, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি আবদুল মোতালেব জুয়েল।