তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূসকে।
Published : 05 Oct 2023, 12:25 PM
নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গ্রামীণ টেলিকমের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাতের যে মামলায় তাকে আসামি করা হয়েছে, সেটি ‘মিথ্যা মামলা’।
বৃহস্পতিবার সকালে দুদকের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান এদিন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ইউনূসকে।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুদক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকরা ইউনূসকে ঘিরে ধরেন। তারা জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে চাইলে ইউনূস প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। পরে শুধু বলেন, “মামালটি মিথ্যা, এ ব্যাপারে আমি শঙ্কিত নই।"
ইউনূস বেরিয়ে যাওয়ার পর তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, “কাল্পনিক অভিযোগের ভিত্তিতে ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। দেশীয় আন্তর্জাতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এই ভিত্তিহীন মামলা করা হয়েছে। দুদকে আমরা বলেছি, যে মামলা করা হয়েছে, তার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই।"
দুদকের তলবে এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সেগুনবাগিচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে হাজির হন ইউনূস। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যান বেলা ১১টা ৫৬ মিনিটে।
গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চলতি বছরের ৩০ মে এ মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের উপ-পরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান। কোম্পানির চেয়ারম্যান ইউনূসসহ ১৩ জনকে সেখানে আসামি করা হয়।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান; পরিচালক পারভিন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম, এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী; অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ; গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।
মামলা হওয়ার পর ইউনূসসহ ১৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে দুদক। তাদের মধ্যে গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও এস. এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফীকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।