সংসদ নির্বাচন আগের সীমানাতেই, খসড়া প্রকাশ

সিটি করপোরেশন ও নতুন উপজেলা হওয়ায় প্রশাসনিক কারণে সাতটি আসনে পরিবর্তন এলেও সবশেষ ২০১৮ সালের সীমানাই বহাল রাখা হয়েছে।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Feb 2023, 01:18 PM
Updated : 26 Feb 2023, 01:18 PM

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানার প্রাথমিক খসড়া প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন; যাতে ২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময়কার সীমানাই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

রোববার প্রকাশিত এ খসড়া নিয়ে ১৯ মার্চ পযন্ত দাবি ও আপত্তি জমা দেওয়ার সময় দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এ নিয়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তিদের আবেদন পাওয়ার পর দাবি, আপত্তি, সুপারিশ বা মতামত নিয়ে শুনানির পর চূড়ান্ত সীমানা পুননির্ধারণ করবে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসি।

খসড়ায় দেখা গেছে, নতুন সিটি করপোরেশন হওয়ায় ময়মনসিংহ ৪ আসন, নতুন উপজেলা হিসেবে প্রশাসনিক এলাকার পুর্নবিন্যাস হওয়ায় মাদারীপুর ৩, সুনামগঞ্জ ১ ও ৩, সিলেট ১ ও ৩ এবং কক্সবাজার ৩ আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর এ পরিবর্তনকে শুধু ‘প্রশাসনিক’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

খসড়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, খসড়ায় আসনের কাঠামোগত কোনো রদবদল নেই। এতে আগের এলাকাগুলোকেই বিদ্যমান সংসদীয় সীমানার মধ্যে রাখা হয়েছে; বদল হয়েছে শুধু উপজেলার নাম কিংবা ওই এলাকা সিটি করপোরেশনের মধ্যে ঢুকে গেছে।

রোববার ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে; যা গেজেট আকারেও প্রকাশ করা হবে। ইসির ওয়েবসাইটে সীমানার খসড়া প্রকাশ করে মতামত বা আপত্তি চাওয়া হয়েছে।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী চলতি বছর ডিসেম্বর বা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে কাজ করছে ইসি। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের মাঝামাঝি পুর্ননির্ধারিত সীমানার গেজেট প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, “আবেদনের পর শুনানিতে বক্তব্য যৌক্তিক হলে মেনে নেব। যাই হোক না কেন জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করব।”

পাঁচ বছর আগের সীমানা বহাল রেখেই প্রকাশ করা এ খসড়ায় ৩০০ আসনের নির্বাচনী এলাকার সীমানায় কাটছাঁট বা রদবদল হয়নি; পরিবর্তন এসেছে শুধু প্রশাসনিক বিন্যাসে।

রোববার নির্বাচন ভবনে নিজ কাযালয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, ২০১৮ সালে যে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেটাই অক্ষুণ্ন রয়েছে।

“শুধু প্রশাসনিক কারণে নামের পরিবর্তন হয়েছে অথবা প্রশাসনিক বিভক্তি যেগুলো হয়েছে, সেগুলো পুরনো নাম বাদ দিয়ে নতুন নাম দিয়ে করা হয়েছে। কোনো পরিবর্তন নেই। সম্ভবত পাঁচ-ছয়টা এ ধরনের হতে পারে। কমিশন অনুমোদন করেছে।”

যে পাঁচ পদ্ধতি অনুসরণ

>> প্রতি জেলার ২০১৮ সালের মোট আসন সংখ্যা অপরিকর্ততি রাখা

>> প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা ও সিটি ওয়ার্ড যথাসম্ভব অখণ্ডতা রাখা

>> ইউনিয়ন, পৌর ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনের বিভাজন না করা

>> নতুন প্রশাসনিক এলাকার যুক্ত, সম্প্রসারণ বা বিলুপ্ত হলে তা অন্তর্ভূক্ত করা

>> ভৌগলিক বৈশিষ্ঠ্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা বিবেচনায় রাখা।

জনশুমারি চূড়ান্ত হতে দেরির কারণে ‘অখণ্ডই’ থাকছে সীমানা

সবশেষ জনশুমারিকে আমলে নেওয়ার বিধান থাকলেও চূড়ান্ত না হওয়ায় সংসদীয় আসনের সীমানা পুর্ননির্ধারণে তা পুরোপুরি বিবেচনায় আনতে পারছে না ইসি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ষষ্ঠ জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন ২০২২ সালের ২৭ জুলাই মাসে প্রকাশ করে। এতে দেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার বলে জানানো হয়।

বিবিএস এর ওই প্রতিবেদনের তথ্য যাচাই বাছাই করে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) প্রতিবেদন দিয়েছে ৬ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়েছে, প্রাথমিক প্রতিবেদন যাচাইয়ে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ তথ্যে অমিল পাওয়া গেছে। এই ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ হলে চূড়ান্ত জনসংখ্যা দাঁড়াবে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন।

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর জানান, পরিসংখ্যান ব্যুরোর জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করতে আরও বছরখানেক সময় লাগবে। কিন্তু ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন করতে হবে।

“তাই আমরা অপেক্ষা তো করতে পারছি না। তারা খসড়া যেটা দিয়েছে সেটা আমলে নিয়েছি। তবে প্রশাসনিক অখণ্ডতা এবং ভৌগলিক বিষয়টাকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। এটা প্রকাশ করার পর যদি জনপ্রতিনিধি বা স্থানীয় সমস্যা মনে করেন, নির্ধারিত সময়ে সময় দেব, তারা আবেদন করতে পারবেন।”

ইতোমধ্যে যেসব আবেদন পড়েছে, তাতে বেশির ভাগই পরিবর্তন না করার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “প্রত্যেকটি আবেদনই শুনানি করা হবে। তাদের বক্তব্য যদি সঠিক হয়, কেউ যদি বিরোধিতা না করেন এবং ইসির কাছে যদি প্রতীয়মান হয় যে তাদের বক্তব্য যৌক্তিক, তখন হয়তো পরিবর্তন আনা হতে পারে। এছাড়া কোনো পরিবর্তন হবে না।”

এক প্রশ্নের জবাবে এ নির্বাচন কমিশনার বলেন, “শুমারির খসড়া তথ্য নেওয়া হয়েছে। তবে প্রশাসনিক ও ভৌগলিক অখণ্ডতাকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আইনেও তাই বলা হয়েছে। আগে একটা উপজেলা ছিল এখন দুইটা উপজেলা হয়েছে, এমন ক্ষেত্রে আমরা নতুন নাম অন্তর্ভুক্ত করেছি। আর কোনো পরিবর্তন আনিনি। যে কেউ এই ক্ষেত্রে সীমানা পরিবর্তনের আবেদন করতে পারবেন।”

আগের যত পরিবর্তন

এর আগে ১৯৮৪ ও ১৯৯১ সালের পর ২০০৮ সালে সংসদীয় আসনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়। ওই বছর নবম সংসদ নির্বাচনের জন্য ১৩৩ আসনে সীমানা পরিবর্তনের প্রস্তাব করে ইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন ইসি ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে।

সবশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৮ সালের ৩০ এপ্রিল ২৫টি আসনের সীমানায় পরিবর্তন এসেছিল।

Also Read: জনশুমারি প্রতিবেদনের অপেক্ষা কঠিন হয়ে যাচ্ছে: ইসি আলমগীর

Also Read: জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন পেলে সংসদীয় আসন পুনর্বিন্যাস: ইসি

Also Read: আগের আসন সীমানা ঠিক রেখেই খসড়া প্রকাশ করবে ইসি

Also Read: জনশুমারি: চূড়ান্ত হিসাবে জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ

এর আগে ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনের আগে এটিএম শামসুল হুদার কমিশন সবশেষ আদমশুমারি অনুযায়ী জনসংখ্যার আনুপাতিক হার মেনে আঞ্চলিক অখণ্ডতা ও প্রশাসনিক সুবিধা বিবেচনায় নিয়ে জিআইএস পদ্ধতি অনুসরণ করে শতাধিক সংসদীয় আসনে পরিবর্তন এনেছিল।

এরপর কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ কমিশন দশম সংসদ নির্বাচনে ৮৭ আসনে পরিবর্তন আনার প্রস্তাব করে। তবে আগের ইসির পদাঙ্ক অনুসরণ করে ৫০টি আসনে ছোটখাটো পরিবর্তন আনে ২০১৪ সালের নির্বাচনে।

এরপর ২০১৮ সালে কে এম নূরুল হুদা কমিশন সীমানার খসড়ায় ৪০ আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করে; পরে ২৫টি আসনে ছোটোখাটো পরিবর্তন এনে একাদশ সংসদ নির্বাচন করে।

যেসব পরিবর্তন

সীমানা পুর্ননির্ধারণের প্রাথমিক খসড়ায় ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৩টি অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। নতুন সিটি করপোরেশন ও উপজেলা সৃষ্টি হওয়ায় সাতটি আসনে সেসব এলাকা ঠিক রেখে শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এসব বদল এসেছে ময়মনসিংহ ৪, মাদারীপুর ৩, সুনামগঞ্জ ১ ও ৩, সিলেট ১ ও ৩ এবং কক্সবাজার ৩ আসেন।

ময়মনসিংহ ৪: বর্তমানে ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নিয়েই আসনটি রয়েছে। এখন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন হওয়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে সিটি করপোরেশনভূক্ত এবং সদর উপজেলা নিয়েই আসনটি বিস্তৃতি হবে।

মাদারীপুর ৩: বর্তমানে কালকিনি উপজেলা এবং মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন (খোয়াজপুর, ঝাউদি, ঘটমাঝি, মস্তফাপুর ও কেন্দুয়া) নিয়ে এ আসনের সীমানা রয়েছে। এখন কালকিনি উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে ‘ডাসার’ নামে নতুন একটি উপজেলা হয়েছে।

এ কারণে প্রস্তাবিত নির্বাচনী এলাকার বিস্তৃতি হবে- কালকিনি, ডাসার ও মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচ ইউনিয়ন।

সুনামগঞ্জ ১: ধর্মপাশা উপজেলার চারটি ইউপি নিয়ে ‘মধ্যনগর’ নামে নতুন উপজেলা হওয়ায় এ আসনে পরিবর্তন আসছে।

ধর্মপাশা, তাহিরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা নিয়ে আসনটি বিদ্যমান রয়েছে। নতুন করে মধ্যনগর নামটি যুক্ত হবে এ আসনে।

সুনামগঞ্জ ৩: এ আসনের বর্তমান সীমানা হচ্ছে জগন্নাথপুর উপজেলা ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা। দক্ষিণ সুনামগঞ্জের নাম পরিবর্তন হয়ে এখন শান্তিগঞ্জ। সেক্ষেত্রে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ নিয়ে একই সীমানা থাকলেও নাম বদলের কারণে পরিবর্তন দেখানো হয়েছে।

সিলেট ১ আসন: সদর উপজেলার একটি ইউনিয়ন সম্পূর্ণ ও তিনটি ইউপির আংশিক সিলেট সিটির অন্তর্ভূক্ত হয়েছে।

সিলেট সিটি করপোরেশনভূক্ত এলাকা ও সদর উপজেলা নিয়ে আসনটি ছিল। এখন সিলেট সদরের সঙ্গে ১-২৭ ও ৩১-৩৯ নম্বর ওয়ার্ড নিয়েই হবে এ আসন।

সিলেট ৩ আসন: দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা নিয়ে এখন আসনটি রয়েছে। দক্ষিণ সুরমার দুটি ইউপি সম্পূর্ণ ও একটি ইউপির আংশিক সিটি করপোরেশনে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।

প্রস্তাবিত সীমানায় সিটি ওয়ার্ডের এসব এলাকা নিয়ে গঠিত ২৮-৩০ ও ৪০-৪২ ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলাই থাকবে।

কক্সবাজার ৩: সদর উপজেলার পাঁচটি ইউপি নিয়ে ‘ঈদগাঁও’ নামে নতুন উপজেলা হওয়ায় সংসদীয় আসনে প্রশাসনিক পরিবর্তন আসছে।

বর্তমানে কক্সবাজার সদর ও রামু উপজেলা নিয়ে আসনটি রয়েছে। প্রস্তাবিত সীমানায় কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও ও রামু উপজেলা হবে।

নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ অনুযায়ী- ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার পাশাপাশি সর্বশেষ আদমশুমারির প্রতিবেদনে উল্লিখিত জনসংখ্যার যতদূর সম্ভব বাস্তব বণ্টনের ভিত্তিতে সীমানা নির্ধারণ করতে হবে।

এ আইন মেনে প্রত্যেক আদমশুমারির পর আদমশুমারি পরবর্তী সংসদের সাধারণ নির্বাচনে নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

তবে এবার চূড়ান্ত জনশুমারি প্রতিবেদন পেতে বিলম্ব হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের। সেক্ষেত্রে আগের সংসদ নির্বাচনের সীমানা বহাল রেখেই খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে।

দৈব দুর্বিপাক বা অন্য কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণে নতুন করে সীমানা নির্ধারণ সম্ভব না হলে সর্বশেষ নির্ধারিত সীমানার ভিত্তিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার আয়তন, অবস্থান ইত্যাদি হুবহু ঠিক রেখে শুধু প্রশাসনিক পরিবর্তনগুলো অন্তর্ভূক্ত করে নির্বাচনী এলাকাগুলোর তালিকা গেজেটে প্রকাশ করবে।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “৩০০ সংসদীয় আসনের খসড়া প্রকাশ করা হয়েছে। এতে আগের সংসদ নির্বাচনের সীমানাই বহাল রাখা হয়েছে। শুধু প্রশাসনিক এলাকার নাম পরিবর্তন ও সিটি এলাকাভূক্ত অংশ যুক্ত করে ছয়-সাতটি আসনে পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। বাস্তবে আগের সীমানাই রয়েছে।”

৩০০ আসনের সীমানা নিয়ে এখন দাবি কিংবা আপত্তির আবেদন এলে কমিশন পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানান এ কর্মকর্তা।