ঢাকার গুলশানে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে, যিনি আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়েছিলেন।
মোহাম্মদ রাজিব ওরফে রাজু নামের ৩৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির বাড়ি গাজীপুর কালীগঞ্জে। গুলশানের ওই ভবনের ১২তলায় একমি গ্রুপের পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসায় তিনি বাবুর্চির কাজ করতেন।
রোববার রাতে রাজুকে গুরুতর আহত অবস্থায় গুলশানের জেড এইচ শিকদার উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানেই রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জান জানান।
অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনায় এ নিয়ে মোট দুজনের মৃত্যু হল। অন্যজনও আগুন থেকে বাঁচতে লাফিয়ে পড়েছিলেন। আনোয়ার হোসেন নামের ৩০ বছরের ওই যুবকও একই বাসায় বাবুর্চির কাজ করতেন।
গুলশানের ১৩ তলা ওই ভবনে রোববার সন্ধ্যা ৭টায় আগুন লাগার পর চার ঘণ্টার চেষ্টায় তা নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
আবাসিক ওই ভবনের নিচ তলা বাদে উপরের ১২ তলায় ছয়টি ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে কয়েকটি পরিবারের বসবাস। আগুন ছড়িয়ে পড়লে ভবনের বিভিন্ন তলায় অনেকে আটকা পড়েন। উপরের দুটো ফ্লোরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক ফাহিম সিনহার বাসার ব্যালকনি থেকে লাফিয়ে পড়েন কয়েকজন।
তাদের মধ্যে আনোয়ারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। রাতেই মর্গে তার লাশ শনাক্ত করেন বড় বোন বিলকিস বেগম ও ছোট ভাই জুলহাস।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গুলশান বিভাগের উপ কমিশনারের মো. আব্দুল আহাদ জানান, আহতদের কয়েকজনকে নেওয়া হয়েছিল ওই ভবনের কয়েক বাড়ি পরে শিকদার হাসপাতালে। তাদের মধ্যে রাজুকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। রাতে তিনি মারা যান।
আর ফাহিম সিনহার স্ত্রী সায়মা রহমানকে আহত ও দগ্ধ অবস্থায় রাতে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। তাকে সেখানেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রাজুর ছোট ভাই সজীব জানান, তারা রাতেই তার ভাইয়ের মরদেহ গাজীপুর কালীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছেন। কালীগঞ্জের নাগরি গ্রামে তাকে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।