“জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্রসহ সব বিভাগকে কার কী করণীয়, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়।”
Published : 01 Nov 2023, 02:23 PM
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোর কার কী কাজ বা দায়িত্ব রয়েছে, তা মনে করিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতির মধ্যে বুধবার সকালে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সংস্থার প্রধানদের নিয়ে এক সভায় বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার কথা জানান নির্বাচনের কমিশনের সচিব মো. জাহাংগীর আলম।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতির কথা জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, “আয়োজনকে সুষ্ঠু ও সুন্দর করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বিভাগের প্রধানদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে সভা হচ্ছে। ইতোমধ্যে আইন শৃঙ্খলা ও গোয়েন্দা বাহিনী প্রধানদের নিয়ে সভা হয়েছে। বুধবার সিভিল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সচিব. মহাপরিচালক, দপ্তর প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।
“জনপ্রশাসন, স্বরাষ্ট্র, অর্থ, তথ্য, শিক্ষা, সড়ক পরিবহন, নৌ পরিবহন, প্রাথমিক শিক্ষা, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাসহ সব বিভাগকে কার কী করণীয়, তা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়।”
কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, যাতায়ত, গণমাধ্যম, প্রচারণা, পররাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক, বিদেশি পর্যবেক্ষ ও ঋণ খেলাপিসহ সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান জাহাংগীর আলম।
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সকালে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় অন্তত ৪০ জন প্রতিনিধি অংশ নেন। সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে চার নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আড়াই ঘণ্টার বৈঠকে নির্বাচনের ক্ষণ গণনার শুরু থেকে তফসিলের আগে-পরে, নির্বাচনের দিন এবং ভোটের শেষ সময় পর্যন্ত যার যা করণীয়, তা যেন সঠিকভাবে পালন করা হয় এবং কাজে কোনো ধরনের সমস্যা যেন না হয়, সে বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।
বৈঠকের পর ইসি সচিব জাহাংগীর আলম বলেন, “আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সব এজেন্ডা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের বার্তা- একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে যার যে দায়িত্ব, তারা যেন যথাযথভাবে পালন করেন।
“যাতে নির্বাচনের সময় কোথাও কোনো ধরনের সমস্যা সৃষ্টি না হয়। তারাও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে।”
রাজনীতির মাঠে সংঘাত আর সহিংসতার মধ্যেই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ৯০ দিনের ক্ষণ গণনা শুরু হয়েছে বুধবার।
নিয়ম অনুযায়ী, ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে এ নির্বাচন শেষ করতে হবে নির্বাচন কমিশনকে। সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নিচ্ছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।
আর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজনেই মন্ত্রণালয় ও দপ্তরগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইসি সচিব বলেন, “স্ব-স্ব মন্ত্রণালয়, বিভাগের যা কিছু করণীয় আছে তা অবহিত করা এবং নতুন বিধিবিধানের আলোকে কী করার রয়েছে, তাদের জানানো হয়েছে।
“নির্বাচনের ক্ষেত্রে যার যেটা করণীয় তা ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করবে। ইসি তাদের উপর কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন যাদে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে নির্বাচন আয়োজন করা যায়।”
এই বৈঠক ছাড়াও ৪ নভেম্বর নিবন্ধিত ৪৪ টি দলকে কমিশনে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
জানতে চাইলে জাহাংগীর আলম বলেন, “নির্বাচন কমিশন কোনো সংলাপের আয়োজন করেনি। ইসিতে নিবন্ধিত দলগুলোর সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক বা দুইজন মনোনীত প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
“আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির লক্ষে ইসি যেসব কার্যক্রম নিয়েছে, তা অবহিত করবে এবং তাদের কোনো পরামর্শ থাকলে সেটা শুনবে।”
আরও পড়ুন-