একসঙ্গে ৩৫ হাজার মানু্ষের অংশগ্রহণে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাতের জন্য প্রস্তুত রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ মাঠে সকাল সাড়ে ৮টায় হবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত। ঢাকা সিটি করপোরেশনের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে এর সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
পুরো ঈদগাহকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে। পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছাড়াও স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স- এসএসএফ এবং ভিভিআইপির নিরাপত্তার বাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন।
মহামারীর বছরগুলোতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ঈদের নামাজ বঙ্গভবনেই সেরেছেন। এবার তিনি জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাতে অংশ নেবেন। সেজন্য পুরো ঈদগাহসহ আশ-পাশের এলাকা জুড়ে নেওয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা।
সরকারের মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ সদস্য, রাজনীতিবিদ, কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।
ঈদুল ফিতর কবে হবে তা নির্ধারণের জন্য শুক্রবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে বসছে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শুক্রবার ঈদ হচ্ছে এবার। সাধারণত আরবের পরদিন বাংলাদেশে রোজা শুরু ও ঈদ হয়।
ঈদের প্রধান জামাতের জন্য জাতীয় ঈদগাহ মাঠে প্যান্ডেল টাঙানো হয়েছে। প্যান্ডেলের নিচে ম্যাট বিছানো হয়েছে। রয়েছে সিলিং ফ্যান, লাইট ও মাইকের ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার জন্য অনুরোধ জানিয়ে টাঙানো হয়েছে বড় বড় ব্যানার, যাতে লেখা আছে- ‘স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন, মাস্ক ব্যবহার করুন’।
জাতীয় ঈদগাহের প্রধান ফটকের সামনে নান্দনিকভাবে সাজানো হয়েছে তোরণ। সেখানে লেখা রয়েছে ‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ- ঈদ মোবারক’।
ঈদগাহ প্রাঙ্গণে রয়েছে অজুর ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র, ডিএমপি কনট্রোল রুম এবং র্যাবের কন্টোল রুম। ঈদগাহের মূল গেইটও সাজানো হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহের কাছে থাকবে ফায়ার বিগ্রেডের টিম।
ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক এবং র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন আলাদাভাবে জাতীয় ঈদগাহ পরিদর্শন করেছেন এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি ঘুরে দেখেছেন।
জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিন প্লাজায় জামাত হবে সকাল ৮টায়।