ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক জমি ব্যবসায়ীর বাসা থেকে তার গালাকাটা লাশ উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মামুন উর রশীদ জানান, নিহত জমি ব্যবসায়ীর নাম আহসান উল্লাহ (৪৫); তিনি ব্রাহ্মণকিত্তা মাদ্রাসার অধ্যক্ষও। পরিবারে তার স্ত্রী ও ছয় সন্তান আছে।
“মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালিন্দী ইউনিয়নের মুসলিমাবাদের বাসা থেকে আহসান উল্লাহর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার গলা কাটা ছিল,“ বলেন মামুন উর রশীদ।
আহসান উল্লাহর বড় ভাই মো. সেলিম রেজা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চারতলা ভবনের দ্বিতীয় তলায় পরিবার নিয়ে থাকতেন আহসান উল্লাহ। সকাল ৭টার দিকে স্ত্রী তাকে রান্না ঘরের মেঝেতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার করে ওঠেন। ওই চিৎকার শুনে ভবনের অন্যরা ছুটে আসে এবং পুলিশে খবর দেয়।
কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মামুন উর রশীদ বলেন, “এই ভবনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক মজবুত। বাইরে থেকে ভেতরে ঢুকে হত্যাকাণ্ড ঘটানো সম্ভব নয়। তদন্ত চলছে। এটি হত্যাকাণ্ড কি না, সেই মন্তব্য এখন করতে চাই না।“
সাত ভাইয়ের মধ্যে আহসান উল্লাহ ছিলেন পঞ্চম। মাদ্রাসার অধ্যক্ষের কাজ থেকে তিনি কোনো টাকা পয়সা পেতেন না দাবি করে বড় ভাই সেলিম বলেন “জমির ব্যবসা নিয়ে ওর মধ্যে হতাশা ছিল। কিছুদিন আগে আমাদের জানায়, ব্যবসায় ৮০ লাখ টাকার একটা ঝামেলা আছে। ২৫ লাখ টাকা হলে সেই সমস্যারর সমাধান করা যাবে। তখন আমাদের আরেক ভাই মোমিন বলেছিল, টাকার ব্যবস্থা করা যাবে।”
আহসান উল্লাহ আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন, এমন ইংগিত করে সেলিম বলেন, “ওই সময় ওর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা সবাই বাসাতেই ছিল। পুরো ভবনে আমরা ভাইরা পরিবার নিয়ে থাকি। বাসায় এসে কেউ কিছু ঘটাবে, তা বিশ্বাস হচ্ছে না।“