গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে নিহত হন রেজাউল।
Published : 18 Aug 2023, 05:42 PM
ঢাকার গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে ছুরিকাঘাতে নিহত মাদ্রাসাছাত্র রেজাউল করিমের হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট এলাকায় শুক্রবার ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’ ব্যানারে এই বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়। রেজাউলের সহপাঠীরাও তাতে অংশ নেন।
বিক্ষোভ ঘিরে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেইট ও পল্টন মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
বিক্ষোভ-সমাবেশে ছাত্র ঐক্যের সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদ, ‘বাংলাদেশ ছাত্রসমাজের’ সভাপতি এহতেশামুল হক সাকি, ‘খেলাফত ছাত্র মজলিসের’ সভাপতি মোল্লা খালিদ সাইফুল্লাহ, ‘বাংলাদেশ কওমী ছাত্র ফোরামের’ সভাপতি তানজিল আমির, ‘ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের’ সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাহমুদসহ অনেকে বক্তব্য দেন।
তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার, শাস্তি ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানান। সমাবেশের পর শতাধিক নেতাকর্মী মিছিল নিয়ে পুরানা পল্টন মোড় হয়ে কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড়ে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করেন।
পল্টন থানার ওসি মো. সালাহ উদ্দিন মিয়া বলেন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অনুমতি ছিল। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।
এ দাবিতে আগামী ২৪ অগাস্টও শাহবাগ চত্বরে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ‘সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য’।
গত ২৮ জুলাই গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে দুপক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে গোলাপশাহ মাজারের কাছে ছুরিকাঘাতে নিহত হন রেজাউল।
তিনি শেরপুরের নকলা উপজেলার নারায়নকোটা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। শেরপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে হাফেজি পাস করে দুই বছর ধরে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর একটি মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছিলেন।
আওয়ামী লীগের সমাবেশের দিন গণ্ডগোলের মধ্যে ছুরি হামলার শিকার হন রেজাউলসহ পাঁচজন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে রেজাউলকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রেজাউলের স্বজনরা পরে জানান, নিজের জন্য ‘ওষুধ কিনতে বেরিয়ে’ মারামারি মধ্যে পড়েছিলেন রেজাউল।
আরও পড়ুন-
গুলিস্তানে নিহত তরুণ ‘ওষুধ কিনতে বেরিয়েছিলেন’, পড়তেন মাদ্রাসায়
শান্তি সমাবেশ শেষে গুলিস্তানে পাঁচজন ছুরিকাহত, একজনের মৃত্যু