আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন বিচারক।
Published : 29 Jan 2024, 12:25 AM
ঢাকাই সিনেমার নব্বই দশকের নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে আদালত।
ঢাকার দ্বিতীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে রোববারও সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষী হাজির করতে না পারায় বিচারক এম আলী আহমেদ সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত ঘোষণা করে আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।
আসামিদের সেদিন বলতে হবে, তারা এ হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত কি না। রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা তাদের বিরুদ্ধে কী কী বলেছেন, তা পড়ে শোনাবেন বিচারক। আসামিদের জিজ্ঞসা করা হবে তারা নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কিনা।
সাড়া জাগানো এ মামলায় অভিযোগ গঠনের পর ২৩ বছরে মাত্র ১০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া গেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাদিয়া আফরিন শিল্পী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ মামলার আসামিরা প্রভাবশালী, তাই কেউ সাক্ষ্য দিতে আসতে চায় না। এ মামলার অভিযুক্ত বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইকেও গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না, বিচারের মুখোমুখি করা যাচ্ছে না।”
ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, সেলিম খান, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, আদনান সিদ্দিকী ও ফারুক আব্বাসী।
১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ১৭ নম্বর রোডের আবেদীন টাওয়ারে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেলকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দিনই তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন।
এই অভিনেতা খুন হওয়ার পর চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে। ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইসহ নয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
এরপর ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়। মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ২০০৩ সালে ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়।
কিন্তু আসামিদের মধ্যে তারিক সাঈদ মামুনের পক্ষে হাই কোর্টে মামলাটি বাতিল চেয়ে আবেদন করা হলে আদালত একটি রুল দেয়; সেই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলার কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ আসে।
এরপর দীর্ঘদিন মামলাটির নথিপত্র খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তারপর বিচারিক আদালতে পুনরায় বিচার শুরু হয়।
১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে নামের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন সোহেল চৌধুরী। একই প্রতিযোগিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন পারভিন সুলতানা দিতিও। পরে এই তারকা দম্পতি বিয়ে করেন।
পুরনো খবর
· সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলা: রাষ্ট্রপক্ষের এক সাক্ষীকে বৈরী ঘোষণা
· চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: সাক্ষ্য দিলেন এমপি নাছিমুলসহ তিনজন
· চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: কেস ডকেট উপস্থাপনে শেষ সুযোগ পেলেন ফরিদ
· চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা: গ্রেপ্তার দেখানো হল আশীষ চৌধুরীকে
· সোহেল চৌধুরী খুনের মামলার ‘কেস ডকেট’ উধাও, আলামতও গায়েব
· সোহেল চৌধুরী-দিতির সন্তানরা কে কোথায়