বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলা ও গ্যাসের লাইন এবং বিড়ি সিগারেট থেকে সবথেকে বেশি আগুন লেগেছে বলে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে।
Published : 04 Feb 2024, 08:33 PM
দেশে গতবছর ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডের হিসাব দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস; এসব ঘটনায় প্রাণ গেছে ১০২ জনের, আহত হয়েছেন ২৮১ জন।
বৈদ্যুতিক গোলযোগ, চুলা ও গ্যাসের লাইন এবং বিড়ি সিগারেট থেকেই সবথেকে বেশি আগুন লেগেছে বলে রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে এ সেবা সংস্থা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাসাবাড়ি বা আবাসিক ভবনে সবচেয়ে বেশি ৬ হাজার ৯৫৬টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে।
এছাড়া গোয়ালঘর ও খড়ের গাদায় ৪ হাজার ২৭৭টি, রান্নাঘরে ২ হাজার ৯৩৮টি, দোকানে ১ হাজার ৮২১টি, হাটবাজারে ১ হাজার ২৬৪টি, শপিং মলে ৭৫৯টি, পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে ৪০৩টি, হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ফার্মেসিতে ২৪৮টি, হোটেলে ২৪৬টি, বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রে ২৩২টি, বস্তিতে ১৯৯টি, বহুতল ভবনে ১৪৭টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৪০টি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ৯৬টি এবং পাট গুদাম-পাটকলে ৯৪টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
এছাড়া সড়কপথের যানবাহনে ৫০৬টি, নৌযানে ৭৩টি ও ট্রেনে ১২টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনা বিশ্লেষণ করে ফায়ার সার্ভিস বলেছে, মোট অগ্নিকাণ্ডের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ৯ হাজার ৮১৩টি, বিড়ি-সিগারেট থেকে ৪ হাজার ৯০৬টি, চুলা থেকে ৪ হাজার ১১৭টি, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৯২৩টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ৭৭০টি, গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ১২৫টি এবং বাজি ফোটানো ৮৭টি অগ্নিকাণ্ড হয়।
মাসের হিসাবে গেল বছরের জানুয়ারিতে ২ হাজার ৬৪৬টি, ফেব্রুয়ারিতে ২ হাজার ৭১৩টি, মার্চে ৩ হাজার ৩৩৪টি, এপ্রিলে ৩ হাজার ১৪১টি, মে-তে ৩ হাজার ২৩৫টি, জুনে ২ হাজার ৪৫০টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। অপরদিকে জুলাই, অগাস্ট, সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে কম।
অগ্নিকাণ্ডে যে ১০২ জন মারা গেছেন, তার মধ্যে ৭৩ জন পুরুষ ও ২৯ জন নারী। আগুনে মোট ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার সম্পদের ক্ষতির হিসাব দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।