তুমব্রুর অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নেওয়া হবে ‘ট্রানজিট ক্যাম্পে’

তুমব্রুর শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া ৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ভেতরে আনলে দেখা যায়, তাদের ২ হাজারই নিবন্ধিত।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 Feb 2023, 12:33 PM
Updated : 2 Feb 2023, 12:33 PM

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু গ্রামে অবস্থান নেওয়া শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা নিবন্ধিত কি না, তা যাচাই করা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন বলেন, গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকায় রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্ক ফোর্সের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

“ইতোমধ্যেই নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের নিজ নিজ ক্যাম্পে স্থানান্তরিত করা হবে। অনিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়ের জন্য কক্সবাজারের ট্রানজিট ক্যাম্পে স্থানান্তর করা যেতে পারে।”

যদি কোনো ব্যক্তির অপরাধমূলক রেকর্ড থাকে, তাহলে বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মুখপাত্র সেহেলী।

তিনি বলেন, কমিটি রোহিঙ্গাদের স্থানান্তর এবং মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থার সহায়তা কামনা করেছে।

নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ১২ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের টেকনাফ ও উখিয়ায় শরণার্থী শিবিরে রয়েছে। তাদের নিবন্ধনও করা হয়।

শরণার্থী শিবিরের নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

তবে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে তুমব্রুর শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া ৩ হাজারের মতো রোহিঙ্গাকে সম্প্রতি বাংলাদেশের ভেতরে আনলে দেখা যায়, তাদের ২ হাজারই নিবন্ধিত। অর্থাৎ তারা আগেই এসে কক্সবাজারে ছিলেন, পরে কোনো ফাঁকে পালিয়ে যান।

Also Read: তুমব্রু সীমান্তে থেমে থেমে গুলি: দুই স্কুলে আশ্রয় রোহিঙ্গাদের

Also Read: ‘আরসা-আরএসও’র সংঘাত: শূন্যরেখা থেকে পালিয়ে এসেছে ৩ হাজার রোহিঙ্গা

Also Read: নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও শিবির ছেড়ে শূন্যরেখায় রোহিঙ্গারা

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, শূন্যরেখায় বাংলাদেশ বা মিয়ানমারের প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না। সেখানে যাওয়ার অধিকারও কারও নেই।

শূন্য রেখায় আটকেপড়া ৬৩০টি পরিবারের প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গার দেখভাল করত আন্তর্জাতিক রেডক্রস ও রেডক্রিসেন্ট কমিটি (আইআরসিআরসি)। এই সংস্থার দেওয়া রেশনেই চলত তাদেরজীবন।

সম্প্রতি মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন ‘আরসা ও আরএসও’র সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা। তাদেরই ২ হাজার ইতোমধ্যে নিবন্ধিত।

ট্রানজিট ক্যাম্পে নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিবন্ধন করা হবে, নাকি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে- এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সরাসরি উত্তর এড়িয়ে বলেন, “আমরা এখনও তাদের নিয়ে কাজ করছি। সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এটা নিয়ে কাজ করছে।”