সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যাটফর্মটির নেতারা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ে সব নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চান তারা।
Published : 25 Dec 2023, 06:32 PM
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ৯৬টি বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) মধ্যে ৩২টি জোট বেঁধে গঠন করেছে ইলেকশন অবজারভার কনসোর্টিয়াম-ইওসি।
সোমবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে নতুন এ মোর্চার।
ইওসির চেয়ারম্যান হয়েছেন শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক আবদুল্লাহ আল মানুন। তার সঙ্গে আরও চারজন কো-চেয়ারম্যান রয়েছেন, যারা বিভাগীয় পর্যায়ে কাজ করবেন।
এছাড়া উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান এবং সাংবাদিক ইশতিয়াক রেজা।
সংবাদ সম্মেলনে প্ল্যাটফর্মটির নেতারা জানান, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ স্থানীয় পর্যায়ে সব নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে চান তারা। শিগগিরই তারা ইসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে ইওসির প্রয়োজনীয় সুপারিশ তুলে ধরবেন।
চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, “আমরা অনুমোদিত ৩২টি সংস্থা বাংলাদেশের ৬৪টি জেলায় ৩০০টি সংসদীয় আসনে মোট ৯ হাজার ৫৫৭ জন পর্যবেক্ষকের তালিকা নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছি।
“পর্যবেক্ষকের মধ্য থেকে নির্বাচিত পর্যবেক্ষকদের ৮টি বিভাগে বিভক্ত করে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ পর্যবেক্ষক তৈরি করা হবে। ইওসির নিজস্ব মনিটরিং সেল থাকবে। সার্বক্ষণিক কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে, যা ইওসির নিজস্ব অফিসে কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।”
ইলেকশন অবজারভার কনসোর্টিয়ামের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে সুষ্ঠু, অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো বিষয়ে ত্রুটিবিচ্যুতি সংগঠিত হলে সেগুলো পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তুলে নিয়ে আসা। এছাড়া নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত নির্বাচনী উপকরণ এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের দক্ষতা, সক্ষমতা ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে অবহিত হয়ে ভবিষ্যতে ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধনে নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করা।”
ইওসির উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগে স্বাধীন রাষ্ট্র পেয়েছিলাম। তা ধূলিসাৎ হয়ে যায় ৭৫ এর ১৫ অগাস্টের পর। আর গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বিকশিত হতে পারেনি। আমরা আবার সুযোগ পেয়েছি। জাতির জনকের কন্যার হাত ধরে আবার গণতন্ত্র বিকশিত হওয়ার সুযোগ এসেছে।”
সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা এই মোর্চাকে উদ্দেশ করে বলেন, “সামনের দিন কঠিন যাবে। সফলভাবেই সেটা ওভারকাম করতে পারবেন বলে আশা করি। নির্বাচনে একটা দল নাই। সরকার চাইছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হোক। তাই জনগণের অংশগ্রহণ দরকার। আপনারা নির্বাচনের পর যে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দেবেন, সেটা যেন মাইলস্টোন হয়।”
ইসির নিবন্ধিত যে ৩২টি সংস্থা ইওসি’র অন্তর্ভূক্ত সেগুলো হল-অ্যাকটিভিটি ফর রিফরমেশন অব বেসিক নিডস—আরবান, ডিজএ্যাবিলিটি ইনকুইজিশন অ্যাক্টিভিটিজ (দিয়া), আজমপুর শ্রমজীবী উন্নয়ন সংস্থা (আসাস), বিবি আছিয়া ফাউন্ডেশন (বিএএফ), লুৎফর রহমান ভূঁইয়া (এলআরবি), যুব উন্নয়ন সংস্থা, শিশু প্রতিভা বিকাশ কেন্দ্র (এসপিবিকে), কেরানিগঞ্জ হিউম্যান রিসোর্সেস ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি (কেএইচআরডিএস), এসডাপ-অ্যাসোসিয়্যাশন ফর ইন্টিগ্রেটেড সোসিও-ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট ফর আন্ডার প্রিভিলিজড পিপল, ভলান্টারি অর্গানাইজেশন ফর সোশাল ডেভেলপমেন্ট (ভোসড), সমাজ উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (এসপিকে), ডেভেলপমেন্ট পার্টনার (ডিপি), সমাহার– মাল্টিডিসিপ্লিনারি রিচার্স অ্যান্ড ভেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন, সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডিও), সোশাল ইকুয়ালিটি ফর ইনফেকটিভ অরগানাইজেশন (সীড)।
এছাড়া পল্লী একতা উন্নয়ন সংস্থা (রুডো), শীল্ড (সোসাইটি ফর হিউম্যান ইম্প্রুভমেন্ট এম্পাওয়ারমেন্ট অ্যান্ড লাস্টিং ডেভেলপমেন্ট), এসো জাতি গড়ি (এজাগ), ফোরাম ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (এফএফডিএ), প্রকাশ গণকেন্দ্র (পিজিকে), রুরাল অ্যান্ড আরবান ডেভেলপমেন্ট অরগানাইজেশন (রাউডো), সার্ভিসেস ফর ইকুইটি অ্যান্ড ইকোনোমিক ডেভেলপমেন্ট (সীড), রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি ফর বাংলাদেশ, ইকো-কনসার্ন অ্যাসোসিয়েশন (ইসিএ), এসো বাঁচতে শিখি (এবাস), রুরাল ভিশন (আরভি), পিপলস অ্যাসোসিয়েশন ফর সোশাল অ্যাডভান্সমেন্ট (পাসা), সবার তরে আমরা ফাউন্ডেশন (এসটিএএফ), বিয়ান মণি সোসাইটি (বিএমএস), অগ্রগতি সেবা সংস্থা (অসেস), এআরডি (অ্যাসোসিয়েশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট) এবং রাজারহাট স্বাবলম্বী সংস্থা রয়েছে এ জোটে।