আগামী বছরের এসএসসিও হবে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে; তবে সব বিষয়ের পরীক্ষাই এবার নেওয়া হবে।
Published : 14 Dec 2022, 08:11 PM
স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে দুই মাস পিছিয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার।
তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “২০২৩ সালের এসএসসি পরীক্ষা এপ্রিলের শেষে হবে। ২০২১, ২০২২ সালে শিক্ষার্থীরা যেহেতু মহামারীর কারণে ওভাবে ক্লাস করতে পারেনি, তাই ২০২৩ সালেও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হবে।”
মহামারীর আগে দেশে ফেব্রুয়ারিতে মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হত। করোনাভাইরাস ও বন্যার কারণে সাত মাস পিছিয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর চলতি বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু হয়।
শিক্ষা কর্মকর্তারা সে সময় মহামারীর ধাক্কা কাটিয়ে আগামী বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্বাভাবিক ধারায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিলেন।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব আবু বকর ছিদ্দীক মার্চে এসএসসি পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনার কথা বলেছিলেন। একই বার্তা দিয়েছিলেন তপন কুমার সরকার।
শিখন ঘাটতি থাকায় এ বছর বিষয়, সিলেবাস, নম্বর ও পরীক্ষার সময় কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ফল প্রকাশ করা হয় ২৮ নভেম্বর।
২০২৩ সালের এসএসসি পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে, পরীক্ষাও ‘এগোবে’
তবে মহামারী পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ২০২৩ সালে সব বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই জানিয়েছিল সরকার।
স্বাভাবিক অবস্থায় এসএসসিতে ৩১৬ ও এইচএসসিতে ৩৩০ কর্মদিবসের ক্লাস পায় শিক্ষার্থীরা। মহামারীর কারণে ২০২৩ সালের পরীক্ষার্থীরা ৮ মাসের বেশি সময় ক্লাসের বাইরে ছিল।
সে কারণে সব বিষয়েয় পরীক্ষা হলেও এই শিক্ষার্থীদের জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাস দেওয়া হয়েছে।
গত ১২ এপ্রিল শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছিলেন, ২০২২ সালের মতো ২০২৩ সালের এসএসসি ১৫০ কর্মদিবসের ও এইচএসসি ১৮০ কর্মদিবসের পরিমার্জিত পাঠ্যসূচি অনুসারে হবে।
পরে ১২ মে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি জানায়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে ৩ ঘণ্টায়, কেবল মাধ্যমিকের আইসিটি বিষয়ের নম্বর থাকবে ৫০।
২০২৪ সালে পরীক্ষা প্রক্রিয়া পুরো স্বাভাবিক হওয়ার আশা প্রকাশ করে এই কমিটির সভাপতি তপন কুমার সরকার বলেন, “আসছে জানুয়ারি থেকে পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রম চলবে। তাই সংক্ষিপ্ত সিলেবাস আর থাকছে না। ২০২৪ সাল থেকে পূর্ণ সিলেবাসেই পরীক্ষা হবে।”