যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি পিছিয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন এ শুনানির জন্য আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ঠিক করেছেন।
আল আমিনের আইনজীবী শামসুজ্জামান জানান, এ দিন অভিযোগ গঠনের শুনানি হওয়ার কথা ছিল। তবে আসামিপক্ষ থেকে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত নতুন দিন ঠিক করেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার আল আমিন এদিন আদালতে হাজির ছিলেন।
গত ১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরদিন আদালতের নির্দেশে থানা ওই অভিযোগ মামলা আকারে গ্রহণ করে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৫ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে ‘যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা’ দাবি করেন।
“ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯ এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।”
এরপর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মো. সোহেল রানা গত ২ ফেব্রুয়ারি আল আমিনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা আইনে আরেকটি মামলা করেছেন ইসরাত।
স্ত্রীর করা ওই মামলা গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন একজন হাকিম। সেদিন বিকালে তা বাতিল করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম। ফলে পারিবারিক সহিংসতা আইনেও তার জামিন বহাল রয়েছে।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল আমিনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ‘খোঁজ খবর নেন না এবং ভরণপোষণও দেন না’ বলে এই মামলায় অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।
আর্জিতে ইসরাত জাহান তার দুই সন্তানকে যেন আমিন বাসা থেকে ‘বের করে দিতে’ না পারেন- সেই আদেশ এবং মাসিক ভরণ পোষণ ও সন্তানদের লেখাপড়াসহ আনুসঙ্গিক খরচ দাবি করেছেন।