যৌতুক দাবি ও স্ত্রীকে নির্যাতনের মামলায় স্থায়ী জামিন পেয়েছেন ক্রিকেটার আল আমিন হোসেন।
ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মাফরোজা পারভীন মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
হাই কোর্টের দেওয়া আট সপ্তাহের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করে এদিন স্থায়ী জামিনের আবেদন করেছিলেন আল আমিন। সেই শুনানি শেষে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে গত ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরদিন আদালতের নির্দেশে থানা ওই অভিযোগ মামলা আকারে গ্রহণ করে।
এরপর এ মামলার আগাম জামিন চেয়ে ৫ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আবেদন করেন আল আমিন। পরদিন হাই কোর্ট তাকে আট সপ্তাহের জামিন মঞ্জুর করে। মেয়াদ শেষে বিচারিক আদালতে আত্মসর্মপণ করতে বলা হয় আল আমিনকে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৫ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে ‘যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা’ দাবি করেন।
“ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯ এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।”
এরপর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান।
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা আইনে আরেকটি মামলা করেছেন ইসরাত।
স্ত্রীর করা ওই মামলা গত ১২ অক্টোবর আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় আল আমিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছিলেন একজন হাকিম। সেদিন বিকালে তা বাতিল করেন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম। ফলে পারিবারিক সহিংসতা আইনেও তার জামিন বহাল রয়েছে।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল আমিনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ‘খোঁজ খবর নেন না এবং ভরণপোষণও দেন না’ বলে এই মামলায় অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।
আর্জিতে ইসরাত জাহান তার দুই সন্তানকে যেন আমিন বাসা থেকে ‘বের করে দিতে’ না পারেন- সেই আদেশ এবং মাসিক ভরণ পোষণ ও সন্তানদের লেখাপড়াসহ আনুসঙ্গিক খরচ দাবি করেছেন।