যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে ক্রিকেটার আল আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর করা মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক সোহেল রানা বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতাউল্লাহর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ, তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান, পুলিশের দেওয়া প্রতিবেদনে বিচারক সই করে ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক পেসার আল আমিন এদিন আদালতে হাজির ছিলেন। গত ১ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় যৌতুক ও শারীরিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরদিন আদালতের নির্দেশে থানা ওই অভিযোগ মামলা আকারে গ্রহণ করে।
মামলার আর্জিতে বলা হয়, গত ২৫ অগাস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে ‘যৌতুক হিসেবে ২০ লাখ টাকা’ দাবি করেন।
“ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল আমিন তাকে মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯ এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে।”
এরপর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। পরে গত ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা আইনে আরেকটি মামলা করেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আল আমিন বলেছিলেন, তার স্ত্রীর সঙ্গে ‘মনোমালিন্য’ হয়েছে।
২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল আমিনের বিয়ে হয়। তাদের দুটি ছেলে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আমিন স্ত্রী ও সন্তানদের ‘খোঁজ খবর নেন না এবং ভরণপোষণও দেন না’ বলে মামলায় অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী।
আর্জিতে ইসরাত জাহান তার দুই সন্তানকে যেন আমিন বাসা থেকে ‘বের করে দিতে’ না পারেন- সেই আদেশ এবং মাসিক ভরণ পোষণ ও সন্তানদের লেখাপড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ দাবি করেন।
ওই মামলায় গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর হাই কোর্টে আগাম জামিন আবেদন করেন আল আমিন। পরদিন হাই কোর্টের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর বেঞ্চ তার আট সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনের মেয়াদ শেষে তাকে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। গত ১ নভেম্বর সেই মেয়াদ শেষ হলে ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে ফের জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন :