“সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুইজারল্যান্ড বাংলদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে,” বলেন রেটো রেংলি।
Published : 28 Jan 2024, 12:19 PM
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তরণের পর যে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে, তা কাটিয়ে উঠতে সুইজারল্যান্ড সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নতুন রাষ্ট্রদুত রেটো রেংলি।
বৃহস্পতিবার পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। ঢাকার শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনামন্ত্রীর দপ্তরে এই বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর রেটো রেংলি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসির তালিকা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর রপ্তানি বাণিজ্য চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুইজারল্যান্ড বাংলদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে পাশে থাকবে।”
বাংলাদেশ একটি স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে ইউরোপের রপ্তানি বাজারে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়ে এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে ২০২৬ সালের পর সেই সুবিধা আর থাকবে না।
সে প্রসঙ্গ টেনে সুইস রাষ্ট্রদুত বলেন, “তখন বাংলাদেশের রপ্তানি বাণিজ্যে নীতি সহায়তার দরকার হবে। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাণিজ্য এগিয়ে নিতে সুইজ্যারল্যান্ড বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।”
তিন মাস আগে সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হয়ে বাংলাদেশে আসেন রেটো রেংলি। সেজন্যই পরিকল্পনামন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূত বলেন, কোভিড মহামারীর পর অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়ানো পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের জন্যই চ্যালেঞ্জ ছিল। বাংলাদেশের সামস্টিক অর্থনীতি সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে।
বৈঠকের পর পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, “উনি নিজেই বলেছেন, ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে উত্তরণ যখন হবে, তখন যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে, তা মোকাবিলায় তারা আমাদের পাশে থাকবেন, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেবেন।”
(প্রতিবেদনটি প্রথম ফেইসবুকে প্রকাশিত হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ তারিখে: ফেইসবুক লিংক)