গত অক্টোবরে তিন পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার।
Published : 03 Nov 2022, 03:57 PM
সম্প্রতি তিন পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানোর পেছনে ‘দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতিকে’ কারণ হিসেবে দেখালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেছেন, “এটা চলমান প্রক্রিয়া। চাকরির ২৫ বছর হলেই দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এখানেও এরকম ঘাটতি ছিল বলে ডিপার্টমান্ট থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
একযোগে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো নিয়ে আলোচনা চলছে গত সপ্তাহ দুয়েক ধরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের এক সংলাপে এসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে এ বিষয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়।
অবসরে পাঠানো কর্মকর্তাদের দেশ প্রেমের ঘাটতি কোথায়- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “কেউ যদি কাজ না করেন, দায়িত্ব পালন না করেন, তাহলে তো দক্ষতা ও দেশপ্রেমের ঘাটতি বলাই যায়।”
গত ৩১ অক্টোবর পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় সরকার। তারা হলেন- সিআইডিতে কর্মরত অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আলমগীর আলম এবং টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. মাহবুব হাকিম। তারা দুজন বিসিএস ১২ ব্যাচের পুলিশ কর্মকর্তা।
প্রজ্ঞাপনে তাদের অবসরে পাঠানোর কারণ বলা হয়নি। পৃথক দুই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “সরকারি চাকরি আইন অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হল।”
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই তিনজন পুলিশ সুপারকে অবসরে পাঠায় সরকার। তারা হলেন- বিসিএস ১২ ব্যাচের কর্মকর্তা মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ চৌধুরী ও দেলোয়ার হোসেন মিয়া এবং ১৫ ব্যাচের কর্মকর্তা মীর্জা আব্দুল্লাহেল বাকী।
এর আগে তথ্য সচিব মকবুল হোসনকে গত ১৬ অক্টোবর অবসরে পাঠানো হয়। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ সে সময় বলেছিলেন, সরকারের ওই সিদ্ধান্তের ‘অন্তর্নিহিত কারণ’ তিনি জানেন না।
এরইমধ্যেই গুঞ্জন রটে- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ‘গোপন বৈঠকের কারণে’ চাকরি খুইয়েছেন মকবুল হোসেন। তবে সাংবাদিকদের কাছে সেই গুঞ্জন নাকচ করে বিদায়ী তথ্যসচিব বলেছিলেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর ‘আদর্শ ধারণকারী’ একজন।
“হয় কি, হাতি যখন পাঁকে পড়ে, চামচিকাও লাথি মারে- এমন একটা কথা আছে না?... তারেক রহমানকে কোনো দিন দেখেছি বলে মনে হয় না। তারেক রহমানকে দেখার ইচ্ছাও আমার নেই।”