ফেইসবুকে গ্রুপ ও পেইজে যে কারো ছবি নিয়ে মিম বানানো অথবা ছবিতে কোনো কথা-কবিতা জুড়ে দিয়ে পোস্ট করার চর্চাকে প্রাইভেসি লঙ্ঘন বলে মনে করেন রাবিতা রহমান।
Published : 16 Feb 2023, 12:25 AM
ছবি বা ভিডিওর সঙ্গে হাস্যকর বা ব্যাঙ্গাত্মক বক্তব্য জুড়ে যেসব ‘মিম’ সোশাল মিডিয়ায় ভেসে বেড়ায়, তা অনেকের জন্যেই বিনোদনের খোরাক। কিন্তু কখনও যদি আবিষ্কার করেন, যে ছবিটা মিমে দেখা যাচ্ছে সেটা আপনারই, অথচ ওই ঘটনার সঙ্গে আপনার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই, তখন?
এরকম ঘটনাই ঘটেছিল জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক রাবিতা রহমানের সঙ্গে।
একটি ফেইসবুক গ্রুপ থেকে তার ছবি দিয়ে মিম বানিয়ে ছেড়ে দেওয়ার পর সেটা সরাতে আপত্তি করছিলেন গ্রুপ অ্যাডমিনরা। সেই যন্ত্রণা থেকে রেহাই পেতে থানা-পুলিশ করতে হয়েছে রাবিতাকে। এক্ষেত্রে ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’ সেন্টারের সহযোগিতাও তিনি পেয়েছেন।
তবে সবার ভাগ্য অতটা সহায় হয় না। সবাই পুলিশের কাছে যেতেও চায় না।
অ্যাকশন এইডের এক জরিপ বলছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে ৬৪ শতাংশ নারী কোনো না কোনোভাবে হয়রানি, হেনস্তা বা সহিংসতার শিকার হন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত ছবি অনুমতি ছাড়া পোস্ট করার ঘটনায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা ১১ দশমিক ৮ শতাংশ। অথচ ভুক্তভোগীদের ৮৫ শতাংশই কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব থাকেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ভাস্কর সাহা বলছেন, এ ক্ষেত্রে দুটো বিষয় জরুরি, সচেতনতা ও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ। সচেতন হলে নিরাপদ থাকা সহজ হবে, না বুঝে অপরাধ করা থেকেও অনেকে বিরত হবেন। আর পুলিশকে না জানালে সহায়তা করার সুযোগ পুলিশের থাকে না।
কী ঘটেছিল রাবিতার সঙ্গে
২০২২ সালের জানুয়ারিতে এক বন্ধুর কাছ থেকে রাবিতা জানতে পারেন, তার ছবি ব্যবহার করে একটি মিম ছড়ানো হচ্ছে ফেইসবুকে। ওই মিমটি পোস্ট করা হয়েছে ‘ঘর সাজানোর দারুন আইডিয়া’ নামের একটি ফেইসবুক গ্রুপ থেকে। ওই পাবলিক পোস্টে হাজারের বেশি লাইক, শয়ের বেশি মন্তব্য ও দুই শতাধিক শেয়ারও হয়েছে।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক বলেন, তার ছবির ওপর ‘বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক’ সংক্রান্ত মজার কথা লিখে পোস্ট করা হয়েছিল ওই ফেইসবুক গ্রুপ থেকে। অথচ তাদের তিনি চেনেন না এবং সেই ছবি ব্যবহারের কোনো অনুমতিও কেউ নেয়নি।
আপাতদৃষ্টিতে ছবির ওপর লেখা কথাগুলো হয়ত ততটা ক্ষতিকর ছিল না, কিন্তু রাবিতার আপত্তির জায়গাটা ছিল, তার ছবি অনুমতি ছাড়াই যেভাবে ব্যবহৃত হয়েছে, এবং এটা থামানো না হলে আরও বিপদজনকভাবেও সেটি করা হতে পারে।
এ অন্যায় থেকে রেহাই পেতে শুরুতে পোস্টদাতা ও ফেইসবুক গ্রুপটির অ্যাডমিনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন রাবিতা।
“গ্রুপের মডারেটর-অ্যাডমিন যারা আছেন, আমি বিভিন্নভাবে তাদের বলি যে ওই ছবিটা এভাবে ব্যবহার করা হয়েছে, আপনারা এটা সরিয়ে নিলে আমি খুশি হব, উপকৃত হব।
”কিন্তু তারা খুব অদ্ভুত যুক্তি দিলেন; বললেন যে আমার ছবি যিনি ব্যবহার করেছেন, তার কথা না শুনে গ্রুপ অ্যাডমিন-মডারেটররা কিছু করতে পারবেন না। কেন আমার ছবি ব্যবহার করা হল সেটা তো তারা জানেন না, সুতরাং তাদের এখানে কিছু করার নেই।”
ওই ফেইসবুক গ্রুপের অ্যাডমিন প্যানেল থেকে উল্টো প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় রাবিতাকে, তার ভাষায় যা ‘ভিকটিম ব্লেইমিং’ এর সমতুল্য। সে কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এই শিক্ষক। তার পরিবারও তাতে সমর্থন দেন।
রাবিতা রহমানের ছবি বসিয়ে এই পোস্টটি ছড়ানো হয়েছিল ফেইসবুকে। [রাবিতার মুখাবয়ব সরিয়ে ছবিটি এখানে প্রকাশ করা হল]
পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ) ইউনিটে যোগাযোগ করলে প্রথমে একটি সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেওয়া হয় তাকে। রাবিতা তখন শিক্ষা ছুটিতে দেশের বাইরে। তাই তার পক্ষে বোন ও দুলাভাই ’প্রাইভেসি পরিপন্থি’ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ জানিয়ে ২০২২ সালে ৫ জানুয়ারি কাফরুল থানায় জিডি করেন।
‘ঘর সাজানোর দারুন আইডিয়া’ ফেইসবুক গ্রুপ এবং ওই পোস্ট সরাতে গ্রুপের অ্যাডমিন প্যানেলের আপত্তির কথাও তার জিডিতে জানানো হয়।
জিডিতে রাবিতা রহমানের ভাষ্য ছিল, “... নারীর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীল জীবনযাপনে নিশ্চিতকরণে এ ধরনের অযাচিত, হয়রানিমূলক ও কুরুচিপূর্ণ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করে এই চর্চা প্রতিহত করার জন্য বাংলাদেশ পুলিশ দৃঢ় অবস্থান নেবে, যা যে কোনো ব্যক্তির-নারীর ছবি অনুমতি ছাড়া যথেচ্ছ ব্যবহারের আগে মানুষকে সচেতন হতে উদ্বুদ্ধ করবে।”
পুলিশের কথায় থানায় জিডি করে অনেকদিন অপেক্ষার পরও হালনাগাদ কোনো তথ্য পাচ্ছিলেন না রাবিতা। পরে ওই বছর জুলাই মাসে দেশে ফিরে পুলিশের কাছে খবর নেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রাবিতা বলেন, “আমি যখন কল করলাম, সাইবার সুপারের পক্ষ থেকে বলা হল, আমার জিডির নাকি নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। শরীয়তপুর থানা থেকে (কারণ ওই পোস্ট করা হয়েছিল শরীয়তপুর থেকে) তাদের সেরকমই নোট পাঠানো হয়েছে।”
কিন্তু ওই ‘নিষ্পত্তির’ কথায় সন্তুষ্ট হতে পারেননি রাবিতা রহমান। যেখানে তিনি জানেনই না, সেখানে সুরাহা কীভাবে হল?
তিনি আপত্তি তোলার পর একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাবিতার অভিযোগ নিয়ে কাজ শুরু করেন এবং ওই পোস্টদাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে তাকে থানায় আনেন।
রাবিতা রহমান বলেন, “আমার সুযোগ ছিল মামলা করার। সেক্ষেত্রে জেল পর্যন্ত ঘটনা গড়াত। কিন্তু বাংলাদেশে তো ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের শিক্ষাগত অভাব আছে। তাই বিশেষ কোনো শাস্তির বদলে আমি পোস্টদাতাকে আইনি ভাষায় ক্ষমা প্রার্থনা করার শর্ত দিই।”
২০২২ সালের ১৮ অগাস্ট সেই মুচলেকা পেয়ে এর জবাবে ’নিঃশর্ত ক্ষমা করলাম’ লিখে দেন রাবিতা। সেই মুচলেকার সফট কপি তিনি রেখে দিয়েছেন।
নিজে ওই জটিলতা পার করতে পারলেও রাবিতা রহমানের উপলব্ধি, এভাবে হেনস্তার শিকার হওয়ার পর কেউ যদি জিডি করতে না চান, বা না পারেন, তার ক্ষেত্রে সেই ছবি বা মিম ছড়াতেই থাকবে।”
পেশাগত কাজ ও লেখালেখির সূত্রে নিজের ফেইসবুক প্রোফাইল পাবলিক রাখেন উন্নয়নকর্মী কিযী তাহ্নিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, কয়েকবারই তাকে এই মিম বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে।
“প্যানডেমিকের সময় ও তার আগে... আমার একটি ছবি, ফটোগ্রাফারের তোলা এবং দেশের বাইরে তোলা। সেই ছবিটা বিভিন্ন কবিতা-অণুগল্পের গ্রুপ ও ফেইসবুক পেইজে কবিতা-গল্প বা তাদের স্ট্যাটাস দিতে ব্যবহার করছে বলে আমাকে কয়েকজন জানাল।
”আমি পেইজে তাদের সঙ্গে কথা বললাম। তাদের কথা হচ্ছে, এটা তারা অন্যখান থেকে কালেক্ট করেছে। অবশ্য বেশিরভাগ সরি বলেছে। ছবি নামিয়েও নিয়েছে। তাদের পক্ষেও তো মনিটর করা সম্ভব না। তবে দুয়েক ক্ষেত্রে আমি সহযোগিতা পাইনি।”
তাহ্নিন বলেন, নারী-পুরুষ উভয়েই এ ধরনের মিম পোস্ট করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন; ভুক্তভোগীও হচ্ছেন উভয়েই।
এই হেনস্তা ‘ছাড় দেওয়ার মত না হলেও’ ব্যস্ততার কারণে আইনি সমাধানের পথে যাননি বলে জানালেন তিনি।
এ ধরনের ঘটনার শিকার হয়ে আইনি সহায়তা নেননি নাজমুন নাহার শিশিরও। গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ উইমেন পিসবিল্ডার্স (জিএনডাব্লিউপি) নামের একটি সংস্থার এই গবেষক নিজের অভিজ্ঞতা জানালেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।
”২০১৪ কি ২০১৫ সালের ঘটনা। তখন অনার্স শেষ করেছি। নানান মিম পেইজ এমনকি ভিডিওতে আমাদের ছবি ব্যবহার করা হয়। ... মানে বেশ চিপ; যেটাতে দর্শকের ভিউ বাড়বে আরকি। আবার অনেকে আমার ছবি দিয়ে প্রোফাইল খুলেছিল ফেইসবুকে।“
সে সময় যেখানে যেখানে ছবি দেখা গেছে, সেসব গ্রুপ বা পেইজের অ্যাডমিনদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন শিশির। তবে তার ওই ছবিগুলো সরানো হয়নি।
এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা ’সহজ টার্গেট’ বলে মন্তব্য করেন নাজমুন নাহার শিশির।
আইনের আশ্রয় কেন নেওয়া হলো না তখন?
শিশির বলেন, “আমরা ওই ঘটনাগুলোকে অফেন্স হিসেবেই নিয়েছিলাম। তবে মানুষ কী বলবে এসব নিয়ে আমরা একদমই চিন্তিত ছিলাম না। আসলে বিষয়টা থানা পর্যন্ত নেওয়ার আগ্রহ হয়নি। আইনি সহায়তা নিতে গেলে হয়রানি হবে ভেবে অনেক সময় আমরা অনেক পদক্ষেপ নিই না।”
যদিও এখন তিনি মনে করেন, ওই সময় আইনের আশ্রয় না নেওয়াটা ’ভুল হয়েছে’।
“যারা সামাজিক দিক ভেবে এসব ঘটনায় লজ্জা বা বিব্রত বোধ করেন, তাদের জন্য কিন্তু এই সময়টা বেশ কঠিন। আমরা যদি সেসময় কোনো আইনি পদক্ষেপে যেতাম, তাহলে এখন অনেকের জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার রাস্তা তৈরি হত।”
বিশেষ করে নারীরা যদি সাইবার ইউনিটে অভিযোগ করেন, সেখানে বিষয়টি ‘যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে’ দেখা হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা।
তিনি জানান, ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর চালু হয় পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন (পিসিএসডব্লিউ); যেখানে যোগাযোগ করেছিলেন রাবিতা রহমান।
ভাস্কর সাহা বলেন, পুলিশ সাইবার সাপোর্টে আসা অভিযোগগুলো নিয়মিত মনিটর করেন সিনিয়র কর্মকর্তারা।
”ডিজিটাল বিষয়গুলো আমাদের দেশে খুব দ্রুত প্রসার পেয়েছে। তো থানায় অনেক অফিসার হয়ত ডিজিটাল বিষয়গুলো সুনির্দিষ্টভাবে অ্যাড্রেস করতে পারেন না বলে প্রত্যাশিত সমাধান আসে না। তাছাড়া সোশাল মিডিয়াগুলোর কোনো অফিস আমাদের দেশে নেই । কোনো আইডি বা পেইজ সম্পর্কে অনেক তথ্য তাদের কাছ থেকে নিতে হয় আমাদের।অনেক ক্ষেত্রেই তারা পর্যাপ্ত তথ্য আমাদের দেয় না।
”অভিযোগের প্রেক্ষিতে তথ্যগুলো সঠিক সময়ে না পেলে ভিকটিমকে আমরা দ্রুত সেবা দিতে পারি না। আবার অনেক অপরাধী বেশ কৌশলী হয়ে থাকেন তথ্য লুকানোর ক্ষেত্রে। তখন অনেকেই মনে করেন, পুলিশের কাছে যাওয়ার পরও পুলিশ কিছু করল না।”
রাবিতা রহমানের আইনের পথে হাঁটার সচেতনতার প্রশংসা করেন প্রেসিডেন্ট পুলিশ পদক (পিপিএম) পাওয়া ভাস্কর সাহা। তিনি জানান, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল সেই পোস্টদাতাও একজন নারী।
“প্রথম তিনি অস্বীকার করেন। তারপর দেখা যায় সাইবার স্পেসে কী করা উচিৎ সে সম্পর্কে তার কোনো আইডিয়া নেই। এটা যে অপরাধ, তাও তিনি বুঝতে পারেননি।”
এ ধরনের অপরাধের বিপরীতে কী শাস্তির সুযোগ রয়েছে?
ভাস্কর সাহা বললেন, শাস্তি নির্ভর করবে অপরাধের ধরনের ওপর। সাইবার স্পেসে যে ধরনের অপরাধগুলো হয় তার প্রেক্ষিতে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, পর্নগ্রাফি অ্যাক্ট, তথ্যপ্রযুক্তি অ্যাক্টে মামলা করা যায়।
”যদি কোনোভাবে থানায় মামলা না হয়, সেক্ষেত্রে ভিকটিম আদালতেও যেতে পারেন। তবে প্রথমে থানায় গিয়ে জিডি করা ভালো। এরপর সাইবার ইউনিটে অভিযোগ দেওয়া যায়। এখন প্রতিটি জেলাতেও সাইবার টিম রয়েছে। ভিকটিম সরাসরি সেখানেও যোগাযোগ করতে পারেন।”
সাইবার হয়রানি নিয়ে অভিযোগ জানানোর জন্য Police Cyber Support for Women- PCSW নামে ফেইসবুক পেইজে মেসেজ দিতে হবে। অথবা [email protected] ঠিকানায় ই-মেইল করেও অভিযোগ জানানো যাবে। এছাড়া হটলাইন নম্বর ৯৯৯ এবং পুলিশ সদর দপ্তরের ০১৩২০০০০৮৮৮ নম্বরে ফোন করেও অভিযোগ করা যাবে।
নারী-পুরুষ সবাকেই সোশাল মিডিয়ায় তথ্য দেওয়ার সময় সচেতন থাকার পরামর্শ দিলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ”অনেকে সন্তানের রেজাল্টের ছবি ফেইসবুকে দেন; তাতে পিতা-মাতার নাম, জন্ম তারিখ, ক্লাস রোল, স্কুল সব থাকে। অনেকে বাসার ঠিকানা, পাসপোর্ট নম্বরও শেয়ার করেন।
”এসব তথ্য কোনো সাইবার ক্রিমিনাল ব্যবহার করতে পারে। এসব তথ্য দিয়ে তার নামে ফেইসবুকে আরেকটি আইডিও খুলে ফেলতে পারে অন্য কেউ।”
আর রাবিতা রহমান মনে করছেন, তার মত অন্যরাও আইনের পথে এগোলে, এ ধরনের অপরাধ কমানো সহজ হবে।