স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গাজীপুরে ইন্ডাস্ট্রি এমনভাবে ডেভেলপ করেছে যে এখন একটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে।
Published : 17 Sep 2022, 01:37 AM
দেশে সাইবার ক্রাইম আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, “এ ক্রাইম এত বেশি বিস্তার লাভ করেছে যে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে, আমাদের দেশের মেয়েরা এ ক্রাইমের শিকার হচ্ছে। তবে আমরা সাইবার ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি।”
শুক্রবার বিকালে গাজীপুর পুলিশ লাইনসে মহানগর পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গাজীপুরকে ‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউন’ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এখানে ইন্ডাস্ট্রি এমনভাবে ডেভেলপ করেছে যে গাজীপুর এখন একটা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। আমরা গাজীপুরে শুধু মেট্রোপলিটন পুলিশই গঠন করিনি, পুলিশের শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ২০০৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৮২ হাজার ৫৮৩টি নতুন পদ সৃষ্টি করে ৮২ হাজার ৫৮৩ জন পুলিশকে নিয়োগ দিয়েছি, তৈরি করেছি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ।
“এছাড়া দেশে গঠন করা হয়েছে টুরিস্ট পুলিশ, নৌ-পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। আমরা এন্টিটেরোরিজম পুলিশ গঠন করেছি, ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন করেছি। আমরা সবকিছুই করেছি জনগণকে সেবা দেওয়ার জন্য।”
এসব গঠনের উদ্দেশ্য সফল হয়েছে মনে করে তিনি বলেন, “নিশ্চয়ই আপনারা পুলিশের ৯৯৯-এর সুফল পাচ্ছেন।”
অনুষ্ঠানে আইজিপি বেনজির আহমেদ বলেন, “বাংলাদের রাজধানী যদি ঢাকা হয়, অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে গাজীপুরকে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী হিসেবে আমরা চিহ্নিত করতে পারি। এদেশের অর্থনীতির ফুসফুস হচ্ছে গাজীপুর। হাজার হাজার ইন্ডাস্ট্রি এবং লাখ লাখ শ্রমিক এখানে কাজ করছে। আমরা প্রতিবছর যে ১৫ মিলিয়ন ডলারের গার্মেন্ট প্রোডাক্ট রপ্তানি করছি তার অধিকাংশই এ অঞ্চল থেকে রপ্তানি হয়ে থাকে। তাই গাজীপুরকে দেশের অর্থনীতির ফুসফুস বলাও ভুল হবে না।”
গাজীপুর মহানগর পুলিশের কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মোহাম্মদ আখতার হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আইজিপি বেনজির আহমেদ।
আলোচনা সভার আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এদিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এর আগে মহানগর পুলিশের অংশগ্রহণে হাতি, ঘোড়া গাড়ি ও বাদ্য বাজিয়ে আনন্দ র্যালি বের করা হয়।