“দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মত করে দেখতে হবে,” বলেন তিনি।
Published : 14 Mar 2024, 12:53 PM
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে গ্যাসের আগুনে দগ্ধদের অনেকেরই অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন।
রোগীদের বাঁচাতে জোর প্রচেষ্টা চালানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেছেন, “দগ্ধ রোগীদের শারীরিক কষ্ট অনেক। প্রতিটি রোগীকে নিজের পরিবারের সদস্যদের মত করে দেখতে হবে।
“অনেকেরই অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। আমরা কিছু রোগীকে হয়ত বাঁচাতে পারব না, কিন্তু কোনো রোগীর প্রতি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমাদের চেষ্টার যেন কোনোরকম অবহেলা না থাকে, এটি আমাদেরকে নিশ্চিত করতে হবে।”
কালিয়াকৈরের ওই ঘটনায় ৩২ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি আছেন। বৃহস্পতিবার ইনস্টিটিউটের চিকিৎসকদের সঙ্গে সভায় রোগীদের শারীরিক অবস্থার বিস্তারিত তুলে ধরেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার সার্বিক বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আহতদের চিকিৎসার যাবতীয় ব্যয় বহনের কথাও জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।
বুধবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে আগে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ওই ঘটনা ঘটে কালিয়াকৈর উপজেলার মৌচাক তেলিরচালা এলাকায়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, যে বাসায় ঘটনাটি ঘটেছে, সেখানে গ্যাস বের হতে থাকা গরম সিলিন্ডার ভেজা চট দিয়ে মুড়িয়ে বাইরে রেখে যান পরিবারের কেউ একজন। স্থানীয়দের অনেকে কৌতূহলী হয়ে এগিয়ে এসেছিলেন কী হচ্ছে সেটা দেখতে।
ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসছিল। পোশাক কারখানা থেকে বাসায় ফিরছিলেন অনেক পোশাক কর্মী। তাদের পাশাপাশি ঘটনা দেখতে ভিড় জমিয়েছিল আশপাশের শিশুরাও। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস বেরিয়ে যে পুরো এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে, তা বুঝতে পারেনি কেউ।
সে সময় পাশের আরেকটি বাসায় চুলা ধরাতে গেলে পুরো রাস্তায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তাতেই দগ্ধ হয় সবাই।
দগ্ধ ৩২ জনের মধ্যে পাঁচজন রোগী আইসিইউতে ও দুজন এইচডিইউতে ভর্তি রয়েছেন। শতভাগ দগ্ধ রোগী আছেন একজন, ৯৫ শতাংশ দগ্ধ আছেন তিনজন এবং ৫০-১০০ শতাংশ পুড়েছে এমন রোগী আছে ১৬ জন।
পোড়ার মাত্রা ২০ শতাংশ থেকে ৪৯ শতাংশ হলে সেই রোগীদের ‘রেড’, ৫ থেকে ১৯ শতাংশ পুড়লে ‘ইয়েলো’ এবং ৫ শতাংশের কম হলে ‘গ্রিন’ ক্যাটাগরি রেখে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সভায় বার্ন ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ নওয়াজেস খান, অধ্যাপক খলিলুর রহমান, অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক হাসিব রহমান ও হোসাইন ইমাম উপস্থিত ছিলেন।