মনিরা হত্যার রায় পেছাল

রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৫ এপ্রিল নতুন দিন রেখেছেন বিচারক।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2023, 10:22 AM
Updated : 21 March 2023, 10:22 AM

ঢাকার খিলক্ষেতে এক দশক আগে যৌতুকের জন্য নববধূ মনিরা পারভীনকে হত্যার ঘটনার রায় পিছিয়েছে।

মঙ্গলবার ঢাকার ৮ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাফরোজা পারভীনের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক ৫ এপ্রিল নতুন তারিখ ঠিক করে দেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রেজাউল করিম জানান।

মামলার আসামিরা হলেন- মনিরার স্বামী নাসির হোসেন, ননদ হাসিনা ও তার স্বামী মিলন, মিলনের ভাই দেলোয়ার হোসেন এবং নাসিরের চাচা দ্বীন ইসলাম। আসামিরা সবাই বর্তমানে জামিনে আছেন।

মনিরাকে হত্যার অভিযোগে ২০১৩ সালে ২৩ জুন খিলক্ষেত থানায় মামলা করেন তারা বাবা মো. মোস্তফা। মামলায় নাসির ও তার চাচাসহ ১১ জনকে আসামি করা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ২৯ জানুয়ারি ৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা খিলক্ষেত থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কেএম আশরাফ উদ্দিন। পরে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয়।

মামলায় বলা হয়, খিলক্ষেতে মনিরা পারভীন ও নাসির হোসেনের বাসা ছিল পাশপাশি। ২০১৩ সালের ১৮ জুন বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মনিরা ওষুধ কেনার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। খোঁজাখুঁজির পর পরিবার জানতে পারে, কাজী অফিসে নিয়ে গিয়ে মনিরাকে বিয়ে করেছেন নাসির।

মনিরার বাবা মোস্তফা এ কথা শোনার পর নাসিরদের বাসায় যান এবং তার বাবা হাছেন আলীকে বলেন তার মেয়েকে খুঁজে ফেরত দিতে হবে।

তখন হাছেন আলী ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফার কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। যৌতুকের টাকা না দিলে বাবা-মেয়েকে ‘খুনের হুমকিও’ তিনি দেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

সেখানে বলা হয়. ওই ঘটনার পরদিন মনিরাকে নিয়ে নাসির তার বাসায় ফিরে যান। বাড়িতে ঢোকার পরপরই নাসিরের বাবা, মাসহ পরিবারের অন্যরা মিলে মনিরাকে ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে, কিলঘুষি মেরে গুরুতর জখম করে বাড়ির কাছে একটি বালুর মাঠে ফেলে রাখে।“

এরপর স্থানীয় লোকজন মনিরাকে উদ্ধার করে আশিয়ান সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মনিরাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১৩ সালের ২২ জুন মনিরা মারা যান।

এ মামলার বিচারে ৮ জনের সাক্ষ্য শুনেছে আদালত।