‘ইচ্ছাকৃত’ ঝগড়া বাধিয়ে মালামাল লুট, ঢাকায় গ্রেপ্তার ২

গ্রেপ্তারদের দেওয়া তথ্যে প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল উদ্ধার করেছে পুলিশ।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2023, 12:57 PM
Updated : 24 Feb 2023, 12:57 PM

পরিকল্পিতভাবে ঝগড়া লাগিয়ে মালামাল লুটের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, তারা 'কাইজ্যা পার্টি' নামে এক প্রতারণা চক্রের সদস্য, যারা সাধারণত ‘রিকশা আরোহীদের’ লক্ষ্য করে এ কার্যক্রম চালায়।

বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা থেকে সাইদুর রহমান হাওলাদার ও মো. মোর্শেদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে মিরপুর থানার ওসি মো. মোহসিন জানান।

পরে তাদের থেকে মেডিকেলের বিভিন্ন যন্ত্রাংশসহ প্রসাধনী সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে, যা একই কায়দায় গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারা লুট করেছিলেন বলে পুলিশের ভাষ্য।

ওসি জানান, এদের সাত সদস্যের একটি দল ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এ কাজ করে বেড়ায়। নগরে 'কাইজ্যা পার্টি' নামে পরিচিত এ দলের কোনো কোনো সদস্য রিকশা নিয়ে ঘোরেন। কোনো যাত্রী উঠলে তাদের সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ঝগড়া করেন। ওই সুযোগে আরেকজন রিকশায় থাকা মালামাল নিয়ে পালিয়ে যান।

গ্রেপ্তার সাইদুর দলটির প্রধান জানিয়ে ওসি বলেন, এভাবে লুট করা চার লাখেরও বেশি টাকার মেডিকেলের কাজে ব্যবহার করা মেশিন এবং দুই লাখ টাকার কসমেটিকস সামগ্রী উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মোহসিন জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারি মিরপুর ১০ এলাকায় মহিউদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মেডিকেলের কাজে ব্যবহার করা দুটি মেশিন নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রিকশা নিয়ে হাজির হন সাইদুর। শেওড়াপাড়া আসার জন্য তার রিকশায় উঠেন মহিউদ্দিন। এর কিছু দূর গিয়ে রিকশা নষ্ট হয়েছে বলে যাত্রীকে হাঁটতে বলেন রিকাশাচালকের ছদ্মবেশে থাকা ওই প্রতারক।

কিছুদূর যেতেই সেখানে আগে থেকে অবস্থান নেওয়া দুই/তিনজন ইচ্ছাকৃতভাবে মহিউদ্দিনের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করেন। এ সুযোগে মালামালসহ রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান সাইদুর।

পরে মহিউদ্দিনের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে কেরানীগঞ্জের শহীদনগর থেকে মেডিকেলের সেসব যন্ত্রাংশ ও কসমেটিকস উদ্ধার করা হয়।

দলটির সদস্যরা কয়েকটি ভাগে কাজ করে জানিয়ে ওসি বলেন, তাদের মধ্যে এক দলে থাকেন হাঁটাওয়ালা। তারা সেই যাত্রীর সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে ঝগড়া লাগান। একজন ‘মাদলিওয়ালা’। তিনি রিকশা চালান বা রিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।

“সাইদুর এই দলের মাদলিওয়ালা। আরেক দল পল্টিওয়ালা। যখন যাত্রী ওই রিকশা খুঁজতে থাকেন তখন এই দল উল্টো রাস্তা দেখিয়ে দেন।”

প্রায় দুই বছর ধরে তারা এ কাজে জড়িত দাবি করে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মালামাল হাতিয়ে নেওয়ার পর বিক্রির টাকার ৭০ শতাংশ সবাই সমানভাগে নেন। অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পান মাদলিওয়ালা এবং ১০ শতাংশ পান হাঁটাওয়ালা।“

এ চক্র ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে এ প্রতারণা করেন।