ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী ও বারিধারা অনেকটা নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটন শহরের মত ব্যয়বহুল হলেও বাড়ির মালিকরা পয়োবর্জ্যের সংযোগ দিয়েছেন ড্রেনে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে অভিজাত এলাকায় বাড়ি বানালেও পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ না থাকা মেনে নেওয়ার মত নয়।
বৃহস্পতিবার গুলশানে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ পার্কে আয়োজিত ডিএনসিসি ট্রেড ফেয়ার ২০২৩ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশেনর (ডিএনসিসি) মেয়র আতিক বলেন, “এমন অনেক বাড়ি আছে দুইটি বা তিনটি বিএমডব্লিউ গাড়ি রয়েছে। কিন্তু অল্প টাকা খরচ করে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট করেননি।”
সাম্প্রতিক সময়ে পয়োবর্জ্যের অবৈধ সংযোগ বন্ধে ডিএনসিসি অভিযান চালিয়েছে, কলাগাছ দিয়ে সেগুলো বন্ধ করলেও তা কাজে আসেনি।
এ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, “আমরা কলাগাছ দিয়ে বন্ধ করব- এটি সমাধান হতে পারে না। অনুরোধ করছি আপনারা সচেতন নাগরিক হিসেবে, সচেতন ভবন মালিক হিসেবে, বিভিন্ন সোসাইটির সচেতন নেতা হিসেবে, হাউজিং প্রতিষ্ঠানের সচেতন মালিক হিসেবে পয়োবর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা করুন।”
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম প্রধান অতিথি হিসেবে মেলার উদ্বোধন করেন।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় এ মেলা শুরু হয় বৃহস্পতিবার যা চলবে শুক্রবার বিকাল বিকাল ৪টা পর্যন্ত। মেলা শুরু হবে সকাল ১০টায়।
মেলায় আধুনিক পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ২৫টি দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, দুর্বল পয়নিষ্কাশন ব্যবস্থা বাসযোগ্য ঢাকার অন্তরায়। ঢাকায় প্রতিদিন ৬ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়, একে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনা না গেলে বাসযোগ্য ঢাকার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।
মেলা উদ্বোধনের পর নিরাপদ ও টেকসই পয়োবর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলোচনায় অংশ নেন মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন, বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি সেলডন ইয়েট, স্থপতি ইকবাল হাবিব, সাবেক সচিব হেদায়েতুল্লাহ মামুন ও বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. মো. মুজিবুর রহমান।