সতর্ক থাকুন, ভোট যেন প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে: প্রধানমন্ত্রী

“খুনি-সন্ত্রাসীদের কেউ যেন পুনরায় জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে,” বলেন তিনি।

আগামী সাধারণ নির্বাচন যাতে কেউ ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ করতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার পাশাপাশি উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখার জন্য দেশবাসীকে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বাসস জানায়, বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বৃহস্পতিবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কেউ যাতে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন ভণ্ডুল এবং প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।”

বেলজিয়াম ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এস্পেস লুমেইনের পারফর্মিং আর্ট থিয়েটারে এই সংবর্ধনার আয়োজন করে।

সরকারের বিরুদ্ধে ‘অপপ্রচার চালানো হচ্ছে’ অভিযোগ করে, তাতে কর্ণপাত না করে গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের ‘অভূতপূর্ব উন্নয়ন’ জনগণের কাছে তুলে ধরতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

বিএনপি-জামায়াতের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “খুনি-সন্ত্রাসীদের কেউ যেন পুনরায় জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে।”

দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত করেছে। আন্তরিকতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের কারণে আমরা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।”

এর বিপরীতে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে কী করেছে, সেই প্রশ্ন তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
২৯ বছর দেশের জনগণের জন্য ‘অন্ধকার ও কষ্টের সময়’ ছিল মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, “তাদের হাতে বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই এবং তারা বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।”

ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সব সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

সরকার রেমিটেন্সে প্রণোদনা দিচ্ছে জানিয়ে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিটেন্স পাঠাতে অনুরোধ জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করায় বাংলাদেশে অতি দরিদ্র থাকবে না। সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে ৮ লাখ ৪০ হাজার গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে। দেশকে অতি দারিদ্র্য মুক্ত করতে সরকার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আরও ১১ হাজার বাড়ি নির্মাণ করছে।”

২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশে’ পরিণত করতে সরকার ‘অক্লান্ত পরিশ্রম’ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি।