এর আগে ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চীনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্প্যানিশ, অসমীয়া ও রুশ ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে।
Published : 26 Aug 2022, 07:55 PM
থাই ভাষায় অনুবাদ করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দেশটির খ্যাতনামা চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিল মোড়ক উন্মোচনের এ আয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডি সেন্টার ও ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের যৌথ আয়োজনে ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) ট্রাস্টি বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
২০১২ সালের জুনে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রথম প্রকাশিত হয়। থাই ভাষার আগে ইংরেজি, উর্দু, জাপানি, চীনা, আরবি, ফরাসি, হিন্দি, তুর্কি, নেপালি, স্প্যানিশ, অসমীয়া ও রুশ ভাষায় বইটি অনূদিত হয়েছে।
থাই ভাষায় বইটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে রাদওয়ান মুজিব বলেন, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে বাংলাদেশকে জানা সম্ভব নয়। এ গ্রন্থ যুব সমাজের কাছে বাংলাদেশের ইতিহাস এবং তার স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রধান নেতার জীবন সম্পর্কে জানার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধুর পুরো জীবন নিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন গ্রন্থভিত্তিক নয়, এ দর্শন তার জীবনের অভিজ্ঞতা থেকে উৎসারিত। তাই এ অনুবাদ থাইভাষী পাঠকদের বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশকে জানতে বিশেষভাবে সহায়তা করবে।”
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন এ গ্রন্থের থাই অনুবাদ প্রকাশ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের উল্লেখ্যযোগ্য অংশ বলে উল্লেখ করেন।
মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নারিন হিরনমুথিকুল বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ একটি অনন্য সাধারণ দলিল, যা শুধু একটি রাষ্ট্রের জন্ম ইতিহাসকে তুলে ধরেনি গ্রন্থটি এমন একজন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত যিনি নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন এবং তার দেশবাসীকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ থাই ভাষায় অনুবাদক দলের প্রধান ছিলেন চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া স্টাডি সেন্টারের পরিচালক সহকারী অধ্যাপক জিরাইউদ সিন্থুফান।
তিনি বলেন, এ অনুবাদ শুধু একটি গ্রন্থের আক্ষরিক অনুবাদ নয়, এটি বঙ্গবন্ধুর চিন্তা, দর্শন, অনুভূতি ও আবেগের অভূতপূর্ব বহিঃপ্রকাশ।
ব্যাংককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই বলেন, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শ, তার জীবন দর্শন থাইভাষী জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দিতে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ গ্রন্থটির অনুবাদ বিশেষ অবদান রাখবে।
অনুষ্ঠানে বইটির ইংরেজি অনুবাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফকরুল আলম এবং চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরাত হরাচাইকুল প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
বইটি থাইল্যান্ডের বিভিন্ন গ্রন্থবিপণি এবং চুলালংকর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কেনা যাবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ দূতাবাস।