কমিশন বলেছে, “যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।”
Published : 11 Jan 2024, 06:36 PM
ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মাথায় কংক্রিটের ব্লক পড়ে মৃত্যুর ঘটনায় কারো অবেহেলা ছিল কি না, সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
ভবন নির্মাণের সময় সেইফটি নেটসহ প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এবং ইমারত নির্মাণ বিধিমালা বাস্তবায়নে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সে বিষয়েও রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ- রাজউকের চেয়ারম্যান ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, “যথেষ্ট পরিমাণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাবে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটছে যা অত্যন্ত দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।”
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মৌচাকে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তা দীপু সানা ওরফে দীপান্বিতার এমন মৃত্যুর ভিডিও ভেসে বেড়াচ্ছে অনলাইনে।
অফিসের কাজ শেষে মৌচাক হয়ে বাসায় ফেরার পথে সিরাজুল ইসলাম হাসপাতালের বিপরীত সড়কের ফখরুদ্দিন বিরিয়ানি ও পার্টি সেন্টারের সামনের ফুটপাত অতিক্রম করার সময় একটি ব্লক তার মাথায় পড়ে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ইট আকৃতির একটি ব্লক উপর থেকে সরাসরি মাথায় পড়তেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু সেই ব্লকটি কোত্থেকে এল, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নয় পুলিশ।
রমনা মডেল থানার এসআই মোজাম্মেল হোসেন বলছেন, ঘটনাস্থলের উপরে নির্মাণাধীন কোনো ভবন নেই। ফখরুদ্দিন পার্টি সেন্টার (কমিউনিটি সেন্টার) রয়েছে। কিন্তু ব্লকটি কোথা থেকে পড়ল, তা জানা সম্ভব হয়নি ভিডিও দেখে।
দীপু সানার মৃত্যু: কংক্রিটের ব্লক এল কোথা থেকে?
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যেটার আঘাতে মৃত্যু হয়েছে, সেটা ফুটপাত নির্মাণে ব্যবহার করা হয় এমন সিমেন্টের খাঁজ কাটা ব্লক। দেখতে ইট আকৃতির। ভিডিওতে শুধু উপর থেকে ব্লকটি পড়তে দেখা যায়। ফ্লাইওভার নাকি উঁচু ভবন থেকে পড়েছে, তা বোঝা যাচ্ছে না। আমরা ঘটনাস্থলে ফের গিয়ে বের করার চেষ্টা করব।”
খুলনার পাইকগাছার মেয়ে দীপু সানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজ বিজ্ঞানে পড়েছেন। ছয় বছর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে অফিসার হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন। সবশেষ তিনি সহ ব্যবস্থাপক হিসেবে সদরঘাট শাখার জড় সামগ্রী ও মনিহারি শাখায় কর্মরত ছিলেন।
তার মৃত্যুর বিষয়ে রমনা মডেল থানায় মামলা করেছেন তার স্বামী তরুণ কুমার বিশ্বাস।
গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, ‘মাথায় ইট পড়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যু’ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নজরে এসেছে।
ঘটনাটি অত্যন্ত ‘মর্মান্তিক ও হৃদয়বিদারক’ উল্লেখ করে কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, “এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়, আগেও একইভাবে ভবন থেকে বিভিন্ন কিছু পড়ে পথচারীরা কখনো মারাত্মক আহত হয়েছেন, কখনোবা প্রাণহানি ঘটেছে।”