Published : 01 Mar 2023, 08:34 PM
কালোবাজারি বন্ধের চেষ্টায় ট্রেনে টিকেট কেনায় জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করে যে পদ্ধতি চালু হল, তা নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে পাওয়া গেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কারও কাছে এই পদ্ধতি সহজ লেগেছে, কারও কাছে কঠিন হয়ে ধরা দিয়েছে।
‘কঠিন’ লাগছে এ কারণে যে টিকেট অনলাইনে কাটা হোক আর কাউন্টারে গিয়েই কাটা হোক, জাতীয় পরিচয়পত্র রেলের সার্ভারে গিয়ে নিবন্ধন করতে হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়া দুইভাবে করা যায়। BR (স্পেস দিয়ে) জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্ম নিবন্ধন নম্বর এবং জন্ম তারিখ লিখে এসএমএস করতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে।
স্মার্টফোন বা ডেস্কটপে রেল সেবা অ্যাপ এবং রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়েও একই প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করতে হয়।
নিবন্ধন একবার করলেই পরে যে কোনো সময় টিকেট কাটা যাবে।
এরপর টিকেট কেনা যায় অনলাইনেও, আবার কাউন্টারেও। নিবন্ধন করলেও কাউন্টারে টিকেট নেয়ার সময় অথবা অনলাইনে কেনা টিকেট প্রিন্ট করার সময় সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ফটোকপি নিয়ে যেতে হয়।
আমি তো এইতা বুঝতাছি না। টাচ মোবাইল নাই। লাইনে দাঁড়ায়া আছি, রেজিস্টেশন করতাম। গাড়ি পাইবাম তো মনে অয় নাযাত্রী লাভলু মিয়া
ট্রেনে যাত্রার সময়ও পরিচয়পত্র সঙ্গে থাকতে হবে। রেলকর্মীরা পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকেট মিলিয়ে দেখবেন। যদি না মেলে তাহলে গুনতে হবে জরিমানা।
যারা টিকেট ছাড়া ট্রেনে উঠবেন, তাদের টিকেট কাটার জন্য সনাতনী রশিদের বদলে থাকবে পস মেশিন। তখনও দেখাতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র।
বুধবার সকালে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন নতুন পদ্ধতিতে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রির প্রক্রিয়াটি উদ্বোধন করেন।
প্রথম দিন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, বহু মানুষ নিবন্ধন করতে পারছিলেন না। পরে অন্যরা দেখিয়ে দেন তাদের।
এদিন বহু যাত্রী স্টেশনে এসে বিপাকে পড়েন, কারণ তাদের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল না। পরে স্বজনদের কাছে ফোন করে স্মার্টফোনে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি আনিয়ে নেন। এরপর স্টেশনের বাইরের দোকান থেকে তা প্রিন্ট করিয়ে এনে কিনতে হয়েছে টিকেট। যাদের স্মার্টফোন বা পরিচয়পত্র, কোনোটিই সঙ্গে ছিল না, তাদেরকে ফিরতে হয়েছে স্টেশন থেকে।
কমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, “কালোবাজারিসহ যত অভিযোগ আসে, সেগুলো বন্ধে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবাই ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবে।”
কাউন্টারের সামনে সহায়তা বুথ
টিকেট নিতে আসা যাত্রীদের জন্য আন্তঃনগর কাউন্টারের সামনে খোলা হয়েছে ‘সহায়তা বুথ’। যারা নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াটি বুঝতে পারছিলেন না, তাদের ভিড় জমে সকাল থেকে।
স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, “আমাদের এখানে যে বুথ, সেখানে আগে ভিড় ছিল না। আজকেই দেখছি। যতদিন মানুষ অভ্যস্ত না হচ্ছে ততদিন বুথ চালু থাকবে।”
সেখানে সকাল ১০টা ৩৪ মিনিটে পাওয়া গেল মো. লাভলু মিয়াকে। যাবেন জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে। তার ট্রেন ১১টায়। এর আগে নিবন্ধন করে টিকেট কাটতে গিয়ে পড়েন ভোড়ান্তিতে।
লাভলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি তো এইতা বুঝতাছি না। টাচ মোবাইল নাই। লাইনে দাঁড়ায়া আছি, রেজিস্টেশন করতাম। গাড়ি পাইবাম তো মনে অয় না।”
পরে একজনের সহায়তায় নিবন্ধন করে টিকেট কেটে ট্রেনে চড়েন তিনি।
ব্যবসায়ী বেলাল আহমদের কাছেও নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি মনে হচ্ছে কঠিন। তিনি বলেন, “আগে আসতাম টিকেট কাটতাম। এখন এসে নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।”
লাভলু ও বেলালের কাছে কঠিন মনে হলেও নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি সহজ মনে হয়েছে শিক্ষার্থী তুষার সরকারের কাছে। স্টেশনে এসে সব আনুষ্ঠানিকতা সেরে টিকেট কেটে তিনি ওঠেন ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী ট্রেনে।
তুষার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রেজিস্ট্রেশন তো সহজ। তবে ব্যবস্থাটা ভালো হয়েছে কি না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। অনেক কাজই তো করে, কিন্তু টেকে না।
সবাই ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাবেকমলাপুরের স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার
“যদি দেখা যায় শুরুতে সবাইকে দেখানোর জন্য কড়াকড়ি করল, ঠিকঠাক সব চেক করল, কিন্তু পরে আর চেক করল না, ঢিল দিল, তাহলে তো হবে না।”
নিবন্ধন বুথে দায়িত্বরত রেল কর্মকর্তা কবির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, “যেসব যাত্রী নিবন্ধন ও টিকেট কাটতে পারছে না তাদেরটা আমরা করে দিচ্ছি। অনেকেই সিস্টেমটা এখনও জানে না। তাই ভিড়ও করছে অনেকে।”
এনআইডি সঙ্গে না থাকায় ঝঞ্ঝাট
অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে ২১ দিন আগে ঢাকায় এসেছিলেন কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রামের মো. মশিউর রহমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্ত্রীর অস্ত্রোপচার হলেও এখনও সেলাই কাটা হয়নি। তাই বাসের বদলে ট্রেনে যেতে চান কুলিয়ারচর। সেখান থেকে তিনি যাবেন অষ্টগ্রাম, তবে জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে না থাকায় কিনতে পারছিলেন না টিকেট।
তিনি বলেন, “অপারেশনের রুগী, সিলাই অহনও খুলছে না। কয় পরিচয়পত্র লাগব। কিন্তু আমার সাতে নাই। টাচ মুবাইল নাই, আমার বাটন ফুন।”
উপায়ান্তর না দেখে স্টেশনে থাকা একজনকে তার স্মার্টফোন ব্যবহার করে বাড়ি থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি আনানোর অনুরোধ করেন মশিউর। কিন্তু পরক্ষণে তার মনে হলো, স্টেশনে প্রিন্টের দোকান নেই।
মশিউর বললেন, “রুগী রাইখা তো বাইরেও যাইতারমুও না। কী যে করি, অপারেশনের রুগী না হইলে তো বাসে যাইতাম গা।”
একই সমস্যায় পড়েন বেলাল আহমেদ নামে একজন। তিনিও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া আসেন স্টেশনে। পরিচয়পত্রটির ছবি আনাবেন, সে উপায়ও নেই।
নিবন্ধন থাকলে পরিচয়পত্রের নম্বর দিয়ে কেন টিকেট কাটা যাবে না, সে প্রশ্ন তুলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “যাদের টাচ মোবাইল নাই, তারা কই যাবে? তাদের বললে বলে সবার মোবাইল আছে৷ তারা তো আমাদের মোবাইল কিনে দেয় নাই।
“আমার ইমার্জেন্সি যাওয়া লাগে আমি কী করুম। তিন দিন যাবত ঘুরতেছি সিলেট যাব, রেজিস্ট্রেশন করতে পারতেছি না।”
জামালপুরে যেতে কমলাপুর এসেও ফিরে যাওয়া আশিকুর রহমান বলেন, “আমাদের আইডি কার্ড নাই নেই, তাহলে কীভাবে যাব৷ বাবা-মায়ের আইডি কার্ডও সঙ্গে নেই। তাই নিবন্ধনও হলো না, টিকেটও পেলাম না। এখন ফিরে যাচ্ছি।”
নিবন্ধন করতে করতে ছেড়ে গেল ট্রেন
ষাটোর্ধ্ব বেগম রোকেয়া চট্টগ্রাম যেতে চেয়েছিলেন। কমলাপুর এসে ঘুরে ঘুরে তার কেটে যায় ঘণ্টাখানেক। এক সংবাদকর্মীর সহায়তায় করেন নিবন্ধন, কাটেন টিকেট, পৌঁছে যান প্লাটফর্মেও। কিন্তু উঠতে পারেননি ট্রেনে।
ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের দিকে তাকিয়ে ক্ষোভে তিনি বলেন, “কতবার কতভাবে রেলওয়ে কত নিয়ম বানিয়েছে৷ এতে ভোগান্তি ছাড়া তো কোনো লাভ হতে দেখিনি।”
বয়সে প্রবীণ মোহাজ্জেল হোসেনের গন্তব্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও। এক হাতে ফোন, অন্য হাতে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে জনে জনে ঘুরছিলেন নিবন্ধনটা করে দিতে। একজন যাত্রীর সহায়তায় এসএমএস পাঠালেও ফিরতি এসএমএস আসেনি আধা ঘণ্টায়ও। ততক্ষণে ছেড়ে যায় তার ট্রেন।
তিনি বলেন, “এত ঝামেলা করলে ট্রেনে যাতায়াত করব কীভাবে? নতুন সিস্টেম করছে কিন্তু আমরা কেউ তা জানি না৷ কীভাবে কী করব সেটাও বুঝতে পারছি না।"
ফিরতি এসএমএসে দেরি
মোহাজ্জেলের মতো অনেকেই ফিরতি এসএমএস দেরিতে আসা নিয়ে সমস্যায় পড়েন। এ জন্য ক্ষোভও ঝাড়েন তারা।
২২ মিনিটেও ফিরতি এসএমএস পাননি এনামুল হক, ৩৪ মিনিটে পাননি মো আলামিন।
নিবন্ধন বুথে দায়িত্বরত রেল কর্মকর্তা কবির উদ্দিন এ প্রসঙ্গে বলেন, “আইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ ভুল দেওয়ার কারণে অনেকের ফিরতি এসএমএস আসতে দেরি হয় বা আসে না। তবে সব কিছু ঠিক থাকলেও অন্তত ১০ মিনিট সময় তো দিতেই হবে।"
স্টেশন ম্যানেজার মো. মাসুদ সারওয়ার বলেন, “দেরির বিষয়টি আমাদের সমস্যা নয়। এনআইডির তথ্য ভেরিফাই হয় নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে। সেখান থেকে ভেরিফাই হয়ে আসতে কিছুটা দেরি হচ্ছে।"
‘চালু থাকবে কদিন?’
টিকেট কাটার নতুন এই পদ্ধতি মনে ধরেছে আমেরিকা প্রবাসী মো. জয়নাল আবেদীনের। বিডিনিউজ টোয়েন্টফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আধুনিক দেশে সবকিছু নিয়মতান্ত্রিক হবে, এটাই প্রত্যাশা৷ বাইরের দেশেও সবাইকে নিজের টিকেট নিজেকে নিয়েই ভ্রমণ করতে হয়। আমাদের দেশে চালু হওয়াতে খুব ভালো হলো। প্রক্রিয়াটি যেন চালু থাকে।”
ঢাকার একটি চেইন ফার্মেসির সেলস ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদের কাছেও পদ্ধতিটি ভালো মনে হয়েছে; তবে এটি কতদিন টিকবে, তা নিয়ে আছে সংশয়।
তিনি বলেন, “অনেক ব্যবস্থাই তো হয়, কিন্তু দুদিন পর যা, তাই হয়ে যায়। আমি এনআইডি দিয়ে টিকেট কেটে ট্রেনে উঠলাম। এখন ট্রেনের ভেতর যদি ভালোভাবে চেকিং না হয়, তাহলে তো আগের মতই হল।
“দেখা যাবে টিটিরা টাকা নিয়ে সিটে বসাচ্ছে, তাহলে তো এসব প্রক্রিয়া করে লাভ হবে না। যেটা শুরু করেছে সেটা ভালভাবে চালু রাখতে হবে।"
জয়ন্তিকা এক্সপ্রেসে যাত্রার উদ্দেশ্যে আসা রেদোয়ান আহমেদ বলেন, “চালু হয় তো ভালোর জন্যই। কিন্তু সমস্যা হলো দুদিন পর বন্ধ হয়ে যায়। রেলওয়েকে কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে, যেন সবাই এই নিয়ম মেনে চলে।”
মন্ত্রী যা বললেন
নতুন পদ্ধতিটি উদ্বোধন করে রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সাংবাদিকদের জানান, আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট কাটতে এই প্রদ্ধতি চালু হলেও ধীরে ধীর লোকাল ট্রেনেও তা চালু হবে৷
তিনি মনে করেন, এই পদ্ধতি টিকেটের কালোবাজারি থামাবে।
“আগে একটি টিকেট থাকলেই ভ্রমণ করা যেত। কিন্তু নতুন নিয়মে টিকেট থাকলেই ট্রেনে চড়া যাবে না। যার টিকেট তাকে ভ্রমণ করতে হবে। অন্যের নামে কাটা টিকিটে ভ্রমণ করা যাবে না।”
“যদি কেউ অন্যের টিকিটে ভ্রমণ করে তবে সেটি বিনা টিকিটে ভ্রমণ করা হয়েছে বলে গণ্য হবে৷ একইসঙ্গে বিনা টিকিটে ভ্রমণের দায়ে সেই যাত্রীকে জরিমানা দিতে হবে,” হুঁশিয়ার করেন তিনি।
এখন থেকে টিকেট কেটে যাত্রা বাতিল করতে চাইলে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে দিয়েই টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে জানান সুজন।
যেভাবে নিবন্ধন
পুরনো নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে: অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে এনআইডি নম্বর ও জন্ম তারিখ লিখে ভেরিফাই বাটনে ক্লিক করতে হবে। তথ্য সঠিকভাবে দেওয়া হলে এনআইডি যাচাই সফল হবে।
নতুন নিবন্ধনকারীর ক্ষেত্রে: ওয়েবসাইট অথবা অ্যাপে গিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাইন আপ করা যাবে। পাশাপাশি এসএমএসের মাধ্যমেও নিবন্ধন সম্পন্ন করা যাবে। এক্ষেত্রে BR<space>NID নম্বর <space> জন্ম তারিখ লিখে পাঠাতে হবে ২৬৯৬৯ নম্বরে।
নিয়মাবলী
>> ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী যাত্রীরা বাবা অথবা মায়ের নাম ও জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে নিবন্ধন করা রেলওয়ে অ্যাকাউন্ট থেকে টিকেট কাটতে পারবে। এক্ষেত্রে টিকেটের উপরে লেখা নামের সঙ্গে যাত্রীর সম্পর্ক যাচাই করতে ভ্রমণের সময় বাধ্যতামূলকভাবে ওই শিশুকে জন্মনিবন্ধন সনদের অনুলিপি সঙ্গে রাখতে হবে।
>> তবে এই বয়সীরা জন্মনিবন্ধন সনদ আপলোড করার মাধ্যমে নিজের নামে অ্যাকাউন্ট নিবন্ধন করতে পারবে। সেক্ষেত্রে নিজের অ্যাকাউন্ট থেকেই টিকেট কাটতে পারবে।
>> বিদেশি নাগরিকরা পাসপোর্ট নম্বর দিয়ে ও পাসপোর্টের ছবি আপলোডের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবে।
>> ভ্রমণকালে সব ধরনের যাত্রীকে অবশ্যই নিজের এনআইডি বা জন্মনিবন্ধন সনদের অনুলিপি বা অথবা পাসপোর্ট/ছবি সংবলিত পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
>> নিবন্ধিত এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কাটতে পারবেন। সেক্ষেত্রে ভ্রমণকালে কেবল টিকেট কাটা ব্যক্তির পরিচয়পত্র থাকলেই চলবে।
>> পরিচয়পত্রের সঙ্গে টিকেটের উপর মুদ্রিত যাত্রীর তথ্য না মিললে যাত্রীকে বিনা টিকেটে ভ্রমণের দায়ে অভিযুক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।