মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, “যারা গ্রামের বাড়িতে অথবা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো ছুটি চাইলে ছুটি নিতে পারেন। সেই সুযোগ তাদের আছে।”
Published : 01 Apr 2024, 12:57 PM
আইনশৃংখলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে ঈদুল ফিতরের আগে ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার সুপারিশ করলেও তাতে সায় দেয়নি সরকার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মন্ত্রিসভা বৈঠকে ওই সুপারিশ নাকচ করা হয়েছে। ফলে ৯ এপ্রিল ছুটি থাকছে না। অর্থাৎ ঈদের সরকারি ছুটি তিনদিনই থাকছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে সোমবার সকাল ১০টায় মন্ত্রিসভার বৈঠক শুরু হয়। সেখানেই আইনশৃংখলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ছুটির প্রস্তাবটি তোলা হয়।
পরে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক বলেন, “আমাদের কমিটি যে সুপারিশ করেছিল তা আজকে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়নি। মন্ত্রিসভা মনে করে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটির মেয়াদ দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে। সেই বিবেচনায় মন্ত্রিসভা ৯ তারিখ ছুটির সুপারিশ অনুমোদন করেনি। “
মন্ত্রী বলেন, “যারা গ্রামের বাড়িতে অথবা দূরে ঈদ করতে যাবেন তারা তো ছুটি চাইলে ছুটি নিতে পারেন। সেই সুযোগ তাদের আছে।”
১১ এপ্রিল বাংলাদেশে ঈদুল ফিতর হতে পারে ধরে নিয়ে চলতি বছরের ছুটির তালিকা বছরের শুরুতেই সাজিয়ে রেখেছে সরকার। সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। ঈদের ছুটির পর ১৩ এপ্রিল শনিবার, ১৪ এপ্রিল নববর্ষের ছুটি।
আর ঈদের আগে ৭ এপ্রিল শবে কদরের ছুটি। তার আগের দুদিন ৫ ও ৬ এপ্রিল সাপ্তাহিক ছুটি রয়েছে। ফলে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি পেলে সরকারি চাকরিজীবীরা এবার ঈদে টানা ১০ দিন ছুটি পেতে পারতেন। নাগরিক অধিকার সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি সেরকম আহ্বানই জানিয়েছিল।
সংগঠনটির ভাষ্য ছিল, এবার রোজার ঈদ ঘিরে রাজধানী ও আশপাশের জেলা থেকে গ্রামে ফিরবে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ঈদের আগে-পরে সাপ্তাহিক ও উৎসবকেন্দ্রিক ছুটির কারণে এবার বেশি মানুষ ঘরমুখো হবে। সে কারণে ঈদের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি বাড়ানো হলে লম্বা ছুটিতে মানুষ ধীরে-সুস্থে গ্রামে যেতে পারবে। এতে ‘দুর্ঘটনার সঙ্গে ভোগান্তিও’ কমবে।
আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি অবশ্য দুই দিনের বদলে এক দিন ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছিল। রোববার সচিবালয়ে কমিটির সভার পর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেছিলেন, মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে সেজন্য ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার প্রস্তাব তারা মন্ত্রিসভায় রাখবেন।
কিন্তু সোমবার মিন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই সুপারিশ ধোপে টিকল না।
পুরনো খবর