বঙ্গবাজারের ভয়াবহ আগুন পাশের পুলিশ সদর দপ্তরেও ছড়িয়ে পুড়িয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ।
মঙ্গলবার দুপুরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে জাতীয় সেবার নম্বর ৯৯৯ এর সেবা নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আগুন লাগার পর থেকে ওই সেবা বন্ধ রয়েছে।
সকাল ৬টা ১০ মিনিটে দেশে কাপড়ের সবচেয়ে বড় মার্কেটের একটি বঙ্গবাজারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ৫০ ইউনিট মিলে সাড়ে ছয় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বঙ্গবাজারের পূর্বপাশেই পুলিশ সদরদপ্তরের সীমানা। ওই সীমানার ভেতরে মূল কম্পাউন্ডের পশ্চিম পাশে একটি পাঁচতলা ভবনের উপরে চিলেকোঠা থেকে দুপুরে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। এছাড়া ব্যারাক ভবনের তৃতীয় তলা থেকেও ধোঁয়া উড়ছিল।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর পুলিশ মহাপরিদর্শক আল-মামুন সাংবাদিকদের জানান, পাঁচ তলা ওই ভবনে ঢাকা মহানগর পুলিশের একটি ‘এক্সচেঞ্জ’ (নিয়ন্ত্রণ কক্ষ) রয়েছে, সেটা আগুনে বেশি ক্ষতি হয়েছে।
“এছাড়া আরও অনেক ক্ষতি হয়েছে, সেগুলো নিরূপণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
পাঁচতলা ওই ভবনের বিভিন্ন তলায় পুলিশের বিভিন্ন শাখার অফিস রয়েছে।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আগে থেকেই পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতর ফায়ার সার্ভিসের দুটি গাড়ি রাখা হয়েছিল। ফলে বিপদ বড় হতে পারেনি।
পুলিশ প্রধান জানান, দমকল বাহিনীর পাশাপাশি র্যাবসহ পুলিশের একাধিক ইউনিটের প্রায় দুই হাজার সদস্য আগুন নির্বাপন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, আনসার সদস্যরাও কাজ করেছে।
আগুন লাগার পর সকালে পুলিশ সদরদপ্তর এক ক্ষুদে বার্তায় জানিয়েছে, “রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কারণে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর সেবা সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয় থানা অথবা ফায়ার স্টেশনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হল।”