দুই বছর স্থগিত থাকার পর আবারও প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহের মাধ্যমে ২১৬ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার ও সনদ তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষায় বর্ষসেরা শিক্ষক, ছাত্র, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মাঠ কর্মকর্তা, স্কুল ম্যানেজিং কমিটি (এসএমসি) ও জনপ্রতিনিধি ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কার ও সনদ দেওয়া হয়।
রোববার ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ অনুষ্ঠানে এ পুরস্কার তুলে দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন জানান, ২০১৯ ও ২০২২ সালের প্রাথমিক শিক্ষা পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যথাক্রমে ১১১ ও ১০৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১৯ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জনকে এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৯০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
আর ২০২২ সালে ২১ ক্যাটাগরিতে ২১ জন এবং ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৮৪ শিশুকে দেওয়া হয় পুরস্কার।
ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারীদের যথাক্রমে ২০ হাজার টাকা, ১৫ হাজার টাকা ও ১০ হাজার টাকাসহ সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়। ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের ২৫ হাজার টাকা, সার্টিফিকেট ও ক্রেস্ট দেওয়া হয়েছে।
দু’বছর পর রাজধানীসহ সারাদেশে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের এ অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “করোনাভাইরাসের কারণে গত দুই বছর শিক্ষা সপ্তাহ আয়োজন বন্ধ ছিল। এর মাধ্যমে গত দুই বছরের দেশ সেরাদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে।
“সরকারের নানামুখী কর্মগ্রহণের কারণে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির হার ৯৮ শতাংশে পৌঁছে গেছে। মেয়েদের ভর্তির হার বেড়েছে, ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের পরিমাণও আগের চাইতে অনেক কমে গেছে। শিক্ষকদের বদলির দুশ্চিন্তা কমেছে। প্রাক-প্রাথমিক স্তর এক বছরের পরিবর্তে দুই বছর করে সেখানে আনন্দের সঙ্গে লেখাপড়ার করার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।”
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মিড ডে মিলের মাধ্যমে স্কুল ফিডিং কার্যক্রম আবারও শুরু করা হবে। এটি হবে পাঠ্যবইয়ের মত প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি উপহার। এখনও যেসব স্থানে শিক্ষক শুন্য রয়েছে সেসব স্থানে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।”
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াত বক্তব্য দেন।