এ প্রক্রিয়া শেষ করতে কমপক্ষে এক মাস সময় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি
Published : 17 Dec 2024, 08:54 PM
বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইনের মত প্রস্তাবিত সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে যেন নাগরিকের বাক্ ও মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টির আশঙ্কা না থাকে সেজন্য অধ্যাদেশের খসড়ার অন্তর্ভুক্তিমূলক পর্যালোচনা চায় টিআইবি।
এ প্রক্রিয়া শেষ করতে কমপক্ষে এক মাস সময় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী বেসরকারি এই সংস্থাটি।
রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সুপারিশ জানিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে চিঠি দিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
সংস্থাটি মনে করে, এই অধ্যাদেশ সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের পর্যাপ্ত বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা ছাড়া জারি করা হলে এর মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান চিঠিতে বলেন, “ভিন্নমত দমন ও গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত সকল নাগরিকের মনে স্বস্তির সঞ্চার করেছে, যা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপের অন্যতম।”
১২ ডিসেম্বর সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২৪ এর খসড়া প্রাথমিকভাবে অনুমোদনের বিষয়টি তুলে ধরে তিনি বলেন, আগের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, সাইবার নিরাপত্তা আইনের মতো নাগরিকের বাক্ ও মত প্রকাশে বাধা সৃষ্টি করার আশঙ্কা এ অধ্যাদেশে থেকে যাওয়ার সুযোগ আছে কি-না, তা যথাযথ পর্যালোচনার দাবি রাখে।
চিঠিতে তিনি বলেন, “এই খসড়া পর্যালোচনার জন্য মাত্র তিন কর্মদিবসের জন্য ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত করা হয়েছিল, যা শেষ হয়েছে এবং তা ইতোমধ্যে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
“এমতাবস্থায়, সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজন ও বিশেষজ্ঞদের পর্যালোচনার জন্য কমপক্ষে এক মাস সময় বৃদ্ধি এবং তার বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করে অধ্যাদেশটি জারির আহ্বান জানাচ্ছি।”
গত ৭ নভেম্বর ‘কালাকানুন’ হিসেবে কুখ্যাতি পাওয়া সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিল করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
সে দিনই সাইবারস্পেসের নিরাপত্তায় নতুন আইন করার কথা বলেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির প্রক্রিয়া চলছে।