শিকাগো ইউনিভার্সিটির জার্নাল থেকে নিবন্ধ নকলের অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদাবনতি করে, যা হাই কোর্ট অবৈধ ঘোষণা করে।
Published : 26 May 2024, 05:43 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষিকা সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আবেদন অকার্যকর ঘোষণা করেছে আপিল বিভাগ।
রোববার আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বে চার বিচারপতির এ আদেশ দেয়।
পরে সামিয়ার আইনজীবী হাসান এম এস আজিম বলেন, সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদাবনতি করলে তিনি হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন। হাই কোর্ট শুনানি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে একটি সিভিল পিটিশন দায়ের করে।
“আজ সেই আবেদনের শুনানি করে আপিল বিভাগ তা অকার্যকর ঘোষণা করেছেন। কারণ সামিয়া রহমান ইতিমধ্যে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন।”
সামিয়া রহমানের বিরুদ্ধে শিকাগো ইউনিভার্সিটির একটি জার্নালের নিবন্ধ থেকে প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠা হুবহু নকলের অভিযোগ উঠেছিল।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নাসরিন আহমেদকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।
তদন্ত শেষে ওই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ অক্টোবর তাদের একাডেমিক অপরাধের শাস্তির সুপারিশ করতে আইন অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রহমত উল্লাহকে আহ্বায়ক করে একটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়।
ট্রাইব্যুনাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শাস্তির বিষয়ে সুপারিশ জমা দিলে সিন্ডিকেটের সভায় সামিয়াকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে পদাবনতি দেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তিনি হাই কোর্টে যান।
আরও পড়ুন:
অবসরের আবেদন ঢাবি শিক্ষক সামিয়া রহমানের
১১ লাখ টাকা 'পাওনা' চেয়ে ঢাবির চিঠি, সামিয়ার ক্ষোভ
সামিয়া রহমানের পদাবনতির সিদ্ধান্ত অবৈধ: হাই কোর্ট