বার্তায় বলা হয়, জেএমবি নেতা সাবু চাপাতি দিয়ে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ঘাড়ে গলায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
Published : 09 Apr 2024, 10:35 AM
বহুমাত্রিক লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে গ্রেপ্তার করার তথ্য দিয়েছে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট- এটিইউ।
মঙ্গলবার সকালে এক বার্তায় এটিইউ জানিয়েছে বলে, গ্রেপ্তার জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীম ২০০৪ সালে বাংলা একাডেমির বইমেলা চলাকালে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের উপর সরাসরি হামলা করেছিলেন।
এই মামলায় যে চার জঙ্গির ফাঁসির রায় এসেছিল, সাবু তাদেরই একজন। শুরু থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।
বার্তায় বলা হয়, জেএমবি নেতা সাবু চাপাতি দিয়ে অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ঘাড়ে গলায় কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে জানানোর কথা বলা হয়েছে বার্তায়।
আলোচিত এই মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ এখনও পলাতক।
দণ্ডিতদের মধ্যে কারাগারে আছেন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন এবং আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহীদ।
বিজ্ঞানমনস্কতা ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যের পক্ষে লেখা হুমায়ুন আজাদ আক্রান্ত হয়েছিলেন দুই দশক আগে একুশে বইমেলা চলাকালে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলা একাডেমি থেকে বেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে টিএসসির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন তিনি।
কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ওই বছর অগাস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
হামলার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।
সেই মামলার রায়ে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল চার জঙ্গির ফাঁসির আদেশ আসে।
আরও পড়ুন: