মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারে তার অটুট অঙ্গীকার আমাকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করেছে।”
Published : 30 Dec 2024, 07:37 PM
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট, শান্তিতে নোবেলজয়ী জিমি কার্টারের প্রয়াণে শোক প্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনুস।
জিমি কার্টার বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন বলে সোমবার এক শোকবার্তায় জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে শোকবার্তা দেওয়ার কথা জানানো হয়।
রোববার জর্জিয়ার প্লেইনসে নিজ বাড়িতে জিমি কার্টার মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “গভীর শোকের সাথে আমি নোবেল বিজয়ী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের প্রয়াণে আন্তরিক শোক প্রকাশ করছি। তিনি ছিলেন এক অসাধারণ নেতা, মানবাধিকার রক্ষার অগ্রদূত, এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ সমর্থক।”
বাংলাদেশের সঙ্গে সর্ম্পক উন্নয়নে জিমি কার্টারের অবদানের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, “প্রেসিডেন্ট কার্টার বাংলাদেশের সত্যিকারের বন্ধু ছিলেন। তার রাষ্ট্রপতির মেয়াদকাল এবং এরপরেও, বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক বহুমুখী প্রেক্ষাপটে আরও শক্তিশালী ও বিস্তৃত হয়।
“বাংলাদেশের জন্য তার কাজ, বিশেষ করে দ্য কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিতকরণ, এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে অবদান, বাংলাদেশের প্রতি তার ভালোবাসা ও আন্তরিকতার প্রতীক হয়ে আছে। আমরা সস্নেহে স্মরণ করি তার ১৯৮৬ সালের বাংলাদেশ সফর, যা আমাদের জনগণের জন্য এক মহান অনুপ্রেরণার উৎস ছিল।”
জিমি কার্টারকে প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করে ইউনূস বলেন, “প্রেসিডেন্ট কার্টার কেবল যুক্তরাষ্ট্র এবং বৈশ্বিক রাজনীতির আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমারও এক প্রিয় বন্ধু ছিলেন। নোবেল বিজয়ীদের বিভিন্ন সমাবেশে তাকে একাধিকবার সাক্ষাৎ করার বিরল সৌভাগ্য আমার হয়েছে। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারে তার অটুট অঙ্গীকার আমাকে সর্বদা অনুপ্রাণিত করেছে। আমাদের কথোপকথনে সবসময় ফুটে উঠত তার গভীর বিনয়, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে তার দৃঢ় বিশ্বাস। সন্দেহ নেই, তার উত্তরাধিকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করতে থাকবে।”
শোকবার্তায় প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশ সরকার এবং জনগণের পক্ষ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এবং বিশেষ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।