বিজিবি সদস্যের প্রাণহানির ঘটনায় যৌথ তদন্ত দাবি আসকের

হত্যা-নির্যাতন বন্ধে ভারত সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Jan 2024, 03:12 PM
Updated : 25 Jan 2024, 03:12 PM

যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বিজিবি সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র-আসক।

মানবাধিকার সংস্থাটি বলছে, “সীমান্তে বিজিবি সদস্যসহ বাংলাদেশের জনগণের প্রতি ভারতীয় বিএসএফ এর এহেন আচরণ বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি ভারতের অবজ্ঞারই পরিচায়ক।”

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ মন্তব্য করেন আসক এর নির্বাহী পরিচালক ফারুখ ফয়সল।

দ্বিপক্ষীয় তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসক বলেছে, “বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের গুলিতে বেসামরিক বাংলাদেশি নাগরিক নিহতের সংবাদ প্রায়ই গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে থাকে, তবে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্য হত্যার ঘটনা নজিরবিহীন।

আসক এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে অন্তত ৩১ জন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। একজন শারীরিক নির্যাতনের কারণে মৃত্যু মারা গেছেন। বিএসএফ-এর নির্যাতনে আহত হয়েছেন আরে ৩১ জন।

বিজিবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সোমবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৫টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের ধান্যখোলা বিওপি'র জেলেপাড়া পোস্ট সংলগ্ন এলাকায় ভারত থেকে আসা একদল গরু চোরাকারবারীদের সীমান্ত অতিক্রম করে আসতে দেখে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর টহল দল তাদের ‘চ্যালেঞ্জ’ করে। চোরাকারবারিরা তখন দৌড়ে ভারতের দিকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

“এ সময় বিজিবি টহল দলের সদস্য সিপাহী মোহাম্মদ রইশুদ্দীন চোরাকারবারীদের পিছনে ধাওয়া করতে করতে ঘন কুয়াশার কারণে দলবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন । প্রাথমিকভাবে তাকে খুঁজে পাওয়া না গেলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়, সে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

“ঘটনার পরপরই এ বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করা হয় এবং জানা যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উক্ত সৈনিক মৃত্যুবরণ করেছে।”

আসক বলছে, “বাংলাদেশ-ভারত যৌথ তদন্তের মাধ্যমে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়াতে প্রয়োজনীয় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।

“তাছাড়া বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যে কোনো ধরনের মারণাস্ত্র ব্যবহার করে নিরস্ত্র নাগরিকদের হত্যা, নির্যাতন বন্ধে ভারত সরকারকে তাদের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছে আসক।”

Also Read: বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি সদস্য নিহত