Published : 01 May 2025, 11:45 PM
‘টাকার বিনিময়ে’ নারীদের হাতে পুরুষের কথিত নির্যাতন, বিকৃত যৌনাচারের ডিভিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের দুই নারী সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তারের পর পুলিশ বলছে, এই চক্র ‘ফেমডম গ্রুপ’ হিসেবে পরিচিত। নারীরা নিজেদের ‘মিসট্রেস’ হিসেবে পরিচয় দেন।
এ ধরনের চক্রের সদস্য গ্রেপ্তারের ঘটনা বাংলাদেশে প্রথম বলে মনে করছেন ভাটারা থানার এসআই ইকবাল হেসেন।
গ্রেপ্তার দুই নারী হলেন-শিখা আক্তার (২৫) ও সুইটি আক্তার জারা (২৫)। তারা দুইজন বান্ধবী বলে পুলিশকে বলেছেন।
এদের একটি টেলিগ্রাম গ্রুপ থাকার তথ্য দিয়ে এসআই ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই গ্রুপের সাথে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করে এক ঘণ্টার ‘ফেমডম সেশন’ বুকিং করেন। পরে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশকে খবর দিলে সেখান অভিযান চালানো হয়।”
গ্রেপ্তারের পর ওই দুই নারীর কাছ থেকে বেশ কিছু ভিডিও পাওয়া যায় যেগুলো ‘ফেমডম সেশন’ এর অংশ। এছাড়া বিকৃত যৌনাচারে ব্যবহৃত একটি চাবুক, বিশেষ পোশাক, হাইহিল বুট জুতা ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ কর্মকর্তা ইকবাল বলেন, যেসব পুরুষ এ বিষয়ে আগ্রহী তারা গ্রুপে যোগাযোগ করে এক ঘন্টার জন্য ৩ থেকে ৫ হাজার টাকায় ‘সেশন’ বুকিং করেন।
“পুরুষরা সেখানে গিয়ে স্বেচ্ছায় তরুণীর হাতে কথিত নির্যাতনের শিকার হন। এতে সে পুরুষরা আনন্দ পান বলে গ্রেপ্তার দুই নারী বলেছেন।”
যখন কথিত নির্যাতন চলে তখন সে পুরুষের অনুমতি নিয়ে ভিডিও করার দাবি করে তিনি বলেন, পরে সে ভিডিও ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকায় কিনে নেয় পুরুষটি। এসব ভিডিওর কিছু অংশ তাদের নির্ধারিত গ্রুপে পোস্ট করে থাকে।
প্রতিদিন তারা দুই থেকে তিনজনের বুকিং নেন বলে পুলিশকে বলেছেন গ্রেপ্তার দুই নারী।
এসআই ইকবাল বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া দুই নারী ছয় থেকে সাত মাস ধরে এর সঙ্গে জড়িত। যে ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেই ফ্ল্যাটে তারা দুইমাস ধরে ছিলেন।
তাদের নির্ধারিত কিছু গ্রাহক রয়েছেন যারা নিয়মিত সেখানে আসেন, বলেন তিনি।
দুই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদে বরাতে এ ধরনের আরও চক্র থাকার কথা তুলে ধরে এসআই ইকবাল বলেন, তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।