স্মার্টকার্ড হাতে না পাওয়া ২০১৭ ও ২০১৮ সালের হালনাগাদে তালিকাভুক্ত ভোটারদের ‘বায়োমেট্রিক তথ্য’ নিতে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
এর আওতায় দেশের সিটি করপোরেশন ও জেলা সদরগুলোতে আগামী দশ দিনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ভোটারের দশ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হবে।
২০০৭-২০০৮ সালে ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরুর পর বর্তমানে ১১ কোটি ৯১ লাখ ভোটার রয়েছে দেশে।
তাদের হাতে প্রথম দিকে লেমিনেটেড এনআইডি দেওয়া হলেও ২০১৬ সাল থেকে স্মার্টকার্ড তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ছয় বছরে সাড়ে সাত কোটিরও বেশি নাগরিকের স্মার্টকার্ড মুদ্রণ করে বিতরণ চলছে।
স্মার্টকার্ড বিতরণের লক্ষ্যে ভোটার নিবন্ধনের সময় দশ আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবিসহ বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হয়।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) মো. ইউনুচ আলী জানান, ২০১৯ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় একবারেই নাগরিকদের দশ আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়েছে। কিন্তু মাঝখানে ২০১৭ সালের ০২ জানুয়ারি থেকে ২০১৯ সালের হালনাগাদের আগ পর্যন্ত সময়ে নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্টকার্ড মুদ্রণ ও বিতরণ না হওয়ায় তাদের সব ধরনের বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হয়নি।
“বর্তমানে ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট নেওয়া সহজ করার লক্ষ্যে নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড বিতরণ ছাড়াই দশ আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া প্রয়োজন। তাই কমিশন প্রত্যেক অঞ্চলে সিটি কর্পোরেশন/ শহর এলাকার একটি ওয়ার্ডে এবং পল্লী এলাকার ক্ষেত্রে একটি ইউনিয়ন সহ মোট দুটি এলাকায় পাইলটিং করার নির্দেশনা দিয়েছে।”
এ কর্মকর্তা জানান, বুধবার আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের আগামী ১০ দিনের মধ্যে পাইলটিং করে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন এনআইডি মহাপরিচালককে দিতে বলা হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন উপজেলা ও থানা পর্যায়ে ২০০৭ সাল হতে ২০১৭ সালের ০১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এরপর ২০১৭ সালে ভোটার বেড়েছে ১১ লাখ ৪৪ হাজার। আর ২০১৮ সালে যোগ হয়েছে ৪৩ লাখ ২০ হাজার ভোটার।
এখন পর্যন্ত যেসব উপজেলা/ থানায় স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে, সেখানে ২০১৭ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধিত নাগরিকদের স্মার্ট কার্ড বিতরণের সময় দশ আঙ্গুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সংশ্লিষ্ট প্রতি থানা নির্বাচনী এলাকায় পাইলটিং করার পর সমস্যা চিহ্নিত করে সমাধানের সুপারিশ, ব্যয় বরাদ্দসহ প্রয়োজনীয় প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২০১৭-২০১৮ সালের ভোটারদের সবার বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।